প্যাকেটের গায়ে লেখা ছিল ‘সাত কারতার শপিং প্রাইভেট লিমিটেড’। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের নয়া দিল্লির। মোড়কটাও বেশ রঙচঙে। তবে ভেতরের ওষুধ পুরোটাই নকল! শুধু তাই নয়, হৃদরোগ থেকে যৌন সমস্যা, ২০ থেকে ২৫ রোগের ওষুধ তৈরি করা হয় ঘরে বসেই!
এমনই এক হারবাল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান মিলেছে হাটহাজারী পৌরসভার দেওয়ান নগর গ্রামের আজিম পাড়া রাস্তার মাথার ‘হামিদ বিল্ডিং’এর দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে।
বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কোমর ব্যথা, কঠিন বাত, গ্যাস্ট্রিক, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ অনেক জটিল রোগের ওষুধ তৈরি করা হয় এই ‘কারখানাটিতে’। শুধু এসব রোগই নয়, যৌন উত্তেজক ওষুধ ছাড়াও মহিলাদের গোপনীয় রোগের চিকিৎসার জন্য সেখানে তৈরি করা হত নানা রকমের ওষুধ।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ওষুধ কারখানাটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এসময় ভ্রাম্যমান আদালত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার অনুমোদন বা ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই তৈরিকৃত এসব হারবাল ওষুধ, ওষুধের প্যাকেট, স্টিকার, ক্যামিকেল, কাঁচামাল, প্লাস্টিক কৌটা ও ওষুধ তৈরির মেশিনসহ নানা সামগ্রী জব্দ করে।
এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কর্তাদের দেখে ওই হারবাল কারখানার কারিগররা ফ্ল্যাটের পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় কারিগরদের ফেলে যাওয়া একটি মুঠোফোন জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও রুহুল আমীন মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই হারবাল ওষুধ তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে কারখানার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে গেছে। তবে কারখানার সকল প্রকার মালামাল জব্দ করা হয়েছে।
তবে কে বা কারা ওই কারখানার এসব হারবাল ওষুধ তৈরির সঙ্গে জড়িত তা জানা যায়নি।