অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন সময় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে চবি শিক্ষক সমিতি। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে তিনদিন ব্যাপী এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, দেশের প্রথম সারির জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় যেসব নিউজ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো সংগ্রহ করে আজ প্রদর্শনী করছি। এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে এতগুলো নিউজ বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য পত্র-পত্রিকায় এসেছে, যেগুলো সংগ্রহ করে প্রদর্শনী করানো সম্ভব। এটা থেকেই বুঝা যায়, কী পরিমাণ অন্যায্য কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন পরিচালিত হয়ে আসছে। চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রকাশিত হওয়া প্রায় ৫০০ নিউজ আমাদের কাছে আছে। সব প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। আমরা সেখান থেকে বাছাই করে ২০০ নিউজ প্রদর্শন করছি।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সেটি ভয়াবহ। কারণ যে ভালো ছাত্র ছিল সেই ভালো শিক্ষক হতে পারে এবং ভালো শিক্ষক হলেই পরে ভালো ছাত্রছাত্রী তৈরি হবে । অন্যথায় যে কোনো রকমের নিয়োগ দিয়ে যদি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ তা মেনে নেবে না।
অধ্যাপক আবদুল হক আরও বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষা, আইনের শাসন, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ এবং যোগ্য লোক দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ ও দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে চলমান ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার ও উপ-উপাচার্য ড. বেনু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রদর্শনী কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসএ