তীব্র শৈত্যপ্রবাহে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কাঁপছে উপরের জেলা পঞ্চগড়। সপ্তাহজুড়ে ঘনকুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এই তাপমাত্রা দেশের মধ্যে এবং চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেও সর্বনিম্ন। এর তিন ঘণ্টা আগে ভোর ৬টায় একই তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে জেলা শহরের চারপাশ। এসময় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন যানবাহনের উপস্থিতিও কম দেখা যায়। অনেক যানবাহন ঘন কুয়াশার কারণে লাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
যাত্রীবাহী বাসচালক মোতালেব হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে সকালে ও রাতে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছে।
রেনু বেগম নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, আমি পাথরের সাইটে কাজ করি। প্রতিদিন সকাল ৬টায় কাজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হই। কিন্তু ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে সময় মতো কাজে যেতে পারছি না। এতে করে অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
মিজানুর রহমান নামে আরেক পাথর শ্রমিক বলেন, গরম কাপড়ের অভাবে অনেক কষ্টে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। যদি সরকার আমাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে দুর্ভোগ কিছুটা কমতো।
এদিকে, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তবে দু’দিন ধরে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ এখন মৃদুতে পরিণত হয়েছে।
অন্যদিকে, তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ বলেন, উত্তর- পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসে পঞ্চগড়ে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে এবং চলতি শীত মৌসুমের মধ্যেও সর্বনিম্ন।
এসএ