‘ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের সঙ্গে স্টেশন মাস্টারসহ রেল সংশ্লিষ্ট কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার জন্য সুপারিশ করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের দুই মূলহোতাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রটির সদস্যরা সরাসরি অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করছেন না। তারা কাউন্টারম্যানদের দিয়ে এটা করছে। মূলত অনলাইন থেকে কাউন্টারম্যানরা টিকিটগুলো সংগ্রহ করছেন। তাদের নাম আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। কাউন্টারম্যানরা মূলত টিকিট কাটার সময় শুরু হলে তারা আগের যাত্রীদের তথ্য ব্যবহার করে টিকিট কেটে রেখে দিচ্ছেন। এতে তারা অল্প পুঁজি ব্যবহার করছেন।
গ্রেফতাররা আরও জানিয়েছে, এই কাজে সহজ ডট কমের আইটি শাখায় কর্মরতদেরও একটা সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। আমরাও কিছুটা ক্রু পেয়েছি তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে। এ নিয়ে আমরা কাজ করছি।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক আরও বলেন, আমরা কিছু নিরাপত্তা কর্মী ও আনসার সদস্যেরও নাম পেয়েছি। তবে আমরা তদন্ত করছি আ তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতনের কাছে তথ্য দেওয়া হবে। মূলত সার্ভার চালুর পরই টিকিটগুলো কেটে রাখছেন তারা। পরে এই সিন্ডিকেটের ১৪ জন সদস্যের মাধ্যমে বিক্রি করতেন। এভাবে চক্রটির সদস্যরা প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের ৫০০ টিকিট বিক্রি করতেন।
গ্রেফতাররা এই টিকিটের ৫০ শতাংশ নিতেন। বাকী ৫০ শতাংশ কাউন্টারম্যানদের দিতেন। কাউন্টারম্যানরা তাদেরকে জানিয়েছে, এই টাকার ভাগ স্টেশন মাস্টার থেকে শুরু করে উপর লেবেলের কর্মকর্তাদেরও দিতে হয়। যে সকল কাউন্টারম্যানদের নাম আমরা পেয়েছি তাদের বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের জানাবো। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে এ কাজে স্টেশন মাস্টারদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা তদন্ত করা হবে বলেও যোগ করেন তিনি।
এসকে