রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা খুরুশিয়া গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী আসমা বেগম। তীব্র শীতে নাজেহাল অবস্থা বৃদ্ধা আসমার। সহায়-সম্বলহীন আসমার শীত নিবারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে তাকে কম্বল উপহার দেওয়া হয়েছে।
শীতের কম্বল পেয়ে স্ফীত হাসি ফুটেছে বিধবা আসমা বেগমের মুখে। তিনি বলেন, ‘গ্রামের গরিবদের শীতের কষ্ট দেখার লোক নেই। যিনি আমাদের মতো গরিব মানুষের খোঁজ নিয়ে কম্বল দিয়েছেন তাকে আল্লাহ বাঁচায় রাখুক।’
শুধু বৃদ্ধা আসমা বেগমই নন, এনএনকে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ রকম রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এতে তাদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।
এনএনকে ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, চলতি শীতের শুরু থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং পাশের বোয়ালখালী উপজেলার শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে প্রতিবছর কম্বল বিতরণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর ধারাবাহিকতায় চলতি শীত মৌসুমে এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার শীতার্তের কাছে পৌঁছানো হয়েছে কম্বল।
রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে কিংবা পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে বসবাসকারী, সিএনজিচালক, রিকশাচালক, মাঝিমাল্লা, এতিমখানাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দুস্থ শীতার্ত দরিদ্র পরিবারগুলোর দরজায় কম্বল পৌঁছানো হয়েছে। শুধু কম্বলই নয়, এ দাতব্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা বছর ধরেই দরিদ্র অসহায়দের নানাভাবে সহযোগিতা করা হয়।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এমরুল করিম রাশেদ জানান, পার্বত্য পাহাড়ের পাদদেশে কর্ণফুলী নদী বিধৌত রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পাহাড়-সমতলবেষ্টিত। ফলে এখানে শীতের তীব্রতা রয়েছে। গত কিছুদিনের শীতের তীব্রতা টের পাচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার শীতার্ত মানুষ। সবচেয়ে কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও দরিদ্র শ্রেণির জনগোষ্ঠী। শীতার্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। কম্বল পেয়ে খুশি দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এসএ