কুমিল্লায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কামরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার মেঘনায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষ হয়। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত কামরুল ইসলাম চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রবের ছেলে। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির ও জেলা পরিষদের সদস্য (মেঘনা) মো.কাইয়ুম হোসেন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা-মামলা চলছিল।
এতে করে কয়েক মাস আগে কাইউম গ্রুপের হামলায় হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নিজাম সরকার নিহত হন।
সম্প্রতি নিজাম সরকার হত্যায় অভিযুক্ত আসামিরা আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে বাড়িতে ফিরতে চাইলে গত রোববার (২৮ জানুয়ারি) তাদের ধাওয়া দেয় হুমায়ুন চেয়ারম্যান গ্রুপ।
বিষয়টি থানা পুলিশ অবগত থাকায় পরবর্তীতে রোববার রাত থেকে চালিভাঙ্গা বাজারে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়।
কাইয়ুম গ্রুপের নলচর, ফরাজিকান্দি, চালিভাঙ্গার লোকজন সোমবার দুপুরে (২৯ জানুয়ারি) যার যার বাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করলে হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই টিটু সরকারের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ সময় উভয় গ্রুপের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে কাইউম গ্রুপের কামরুল ইসলামসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
এদের মধ্যে যুবলীগ নেতা কামরুল ও দাইয়ানকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কামরুল মারা যান।
এ বিষয়ে ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
জেএন/পিআর