‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে পর্দা উঠতে যাচ্ছে ২৯ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলার। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। স্বাগত বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।
এরইমধ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বইমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন। তিনি বলেন, সার্বিক দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করছি এবছর অন্যান্যবারের চেয়েও বেশি সংখ্যক দর্শনার্থী বইমেলায় আসবেন।
এদিকে বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এ বছর ১১টি বিভাগে ১৬ জনকে (কবিতা, কথাসাহিত্য, প্রবন্ধ/গবেষণা, অনুবাদ, নাটক, শিশুসাহিত্য বিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু পরিবেশ/বিজ্ঞান ক্ষেত্র, জীবনী ও লোককাহিনি) বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হবে। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- শামীম আজাদ (কবিতা), ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী (যৌথভাবে কথাসাহিত্য), জুলফিকার মতিন (প্রবন্ধ/গবেষণা), সালেহা চৌধুরী (অনুবাদ), নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক (যৌথভাবে নাটক), তপঙ্কর চক্রবর্তী (শিশু সাহিত্য), আফরোজা পারভিন এবং আসাদুজ্জামান আসাদ (মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা), সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মো. মজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণা), পক্ষীবিদ ইনাম আল হক (পরিবেশ/বিজ্ঞান ক্ষেত্র), ইসহাক খান (জীবনী) এবং তপন বাগচী ও সুমন কুমার দাস (যৌথভাবে লোককথা)।
উল্লেখ্য, এবার অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট জায়গায়। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট অর্থাৎ মোট ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসএ