ঢাকার মোহাম্মদপুরে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িতে হামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের হাতে যাচ্ছে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার যে সাধারণ ডায়েরি করেছেন, তার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাশাপাশি মহানগর পুলিশ ওই ঘটনার ছায়া তদন্তে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা তদন্ত করে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য বলা সম্ভব নয়।
শনিবার (৪ আগস্ট) রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতে নৈশভোজ শেষে বের হওয়ার সময় হামলার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গাড়ি।
এ সময় বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও ঢিল ছোঁড়া হয়। পুরো ঘটনা নিয়ে তিনি পরে থানায় জিডি করেন।
রোববার (৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মোটর সাইকেল আরোহীসহ একদল সশস্ত্র লোক শনিবার মোহাম্মদপুর এলাকায় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী দূতাবাসের একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
হামলায় কারও কোনো ক্ষতি হয়নি জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রদূত ও তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত দল অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা দলের দুটি গাড়ির কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, বদিউল আলম মজুমদারের বাসায় সেই নৈশভোজে ড. কামাল হোসেন, দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, হাফিজ উদ্দিন, বিচারপতি আব্দুর রউফসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত থাকলেও জিডিতে কেবল বার্নিকাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শুধু বার্নিকাটের নাম দেওয়ার পেছনে অন্য কোনো বিষয় আছে কি না- তাও তদন্তে আসবে। তাছাড়া ওই বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের যাওয়ার বিষয়ে পুলিশকে না জানানোর কারণও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে পুলিশ ঘটনাস্থলের আশপাশের কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এখনো পায়নি বলে জানান তিনি।
জয়নিউজ/আরসি