জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দলকে টেকাতে হলে সবাইকে এক লাইনে থাকতে হবে। যদি ব্যর্থ হই তবে দল মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা ভাঙন নিয়ে চিন্তিত নই। কিন্তু আমাদের নিজেদের মধ্যে যে ত্রুটি আছে সেগুলো সারিয়ে তোলাটা জুরুরি।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা আমি এই মুহূর্তে দেখছি না। এরশাদ সাহেবের নাম ও আদর্শ দিয়ে আরও দশটি দল যে কেউ গঠন করতে পারে।
কিন্তু জাতীয় পার্টি ভেঙে আরেকটি দল গঠন করার পরিবেশ পরিস্থিতি এই মুহূর্তে দেখছি না। তবে একটা জিনিস আমি বলতে চাই, আমাদের দলের ব্যাপারে মানুষের ধারণা কিন্তু ভালো নয়। এটা ভালো করাটা জরুরি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি অন্য দলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, এটা আংশিকভাবে সত্য। আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমাদের দলের মধ্যে ব্যাপকভাবে সংশোধন হওয়ার দরকার আছে।
আমরা যদি সেটা না করতে পারি তবে সামনের দিকে দল ভাঙবে না শুধু, দলের অস্তিত্বও থাকবে না। দলকে মানুষ ভালোবাসবে না, দলের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে না।
জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, সরকারি দলের মন্ত্রীদের বক্তব্যে মনে হয় আমরা মধ্যযুগীয় ব্যবস্থায় চলে যাচ্ছি। হয়ত সাধারণ মানুষ এটি খেয়াল করে না।
শ্রদ্ধেয় আইনমন্ত্রী সেদিন একটি কথা বললেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরো ৫০ বছর লাগলে দিতে হবে। এটাকে আমি দেখেছি মধ্যযুগীয় ব্যবস্থার মতো। মধ্যযুগে পেশিশক্তির মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হতো। অর্থাৎ জোর যার মুল্লুক তার।
তিনি বলেন, বিচারব্যবস্থা যদি বিলম্ব হয় তার মানে হচ্ছে, সে বিচার আর পাওয়া যাবে না। এই বিচার যদি আরো ৫০ বছর বিলম্ব হয় তাহলে এটি তো বিচারহীনতা হলো। তাহলে আমরা কি দেশকে বিচারাধীনতা উপহার দিতে যাচ্ছি?
জেএন/পিআর