বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিপি) সদস্যদের ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ব্রাসেলস সফরসহ চলমান বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা জানান মন্ত্রী।
সীমান্ত অরক্ষিত ও পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, সেজন্য প্রতিবেশি দেশের সহযোগিতা চাইব কিনা এবং জাতিসংঘকে যুক্ত করার চিন্তা আছে কিনা জানতে চাইলে, জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত আমাদের যথেষ্ট রক্ষিত আছে। যেহেতু দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। এখনও তৃতীয় পক্ষকে জড়িত করার প্রশ্ন আসেনি। কূটনৈতিক চ্যানেলে আলোচনা চলছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, এখন পর্যন্ত রেজিস্টার্ড ৯৫ সদস্য এসেছে। তারা (বিজিপি সদস্য) যেহেতু পালিয়ে এসেছে আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। পালিয়ে আসাদের কয়েকজন আহত আছে। তাদেরকে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেওয়া বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে দেশটি যোগাযোগ করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ আছে। আজ সকালে মিয়ানমারের ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার আমাদের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তারা তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। বিজিপি যেসব সদস্য এখানে এসেছে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনা করব।
তাদের বাই এয়ার (বিমানযোগে) নাকি বাই বোট (নৌকাযোগে) ফিরিয়ে নেওয়া হবে সেটি নিয়ে আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আমাদের একটি পথ খুঁজে বের করতে হবে। এর আগেও ভারতে অনেকে ঢুকে পড়েছিল এবং ভারত থেকে তাদের বিমানযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠির পরে সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক, জলবায়ু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে। বাইডেনের চিঠির পরে সম্পর্ক নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সাথে কোনো অস্বস্তি নেই। ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার হবার আলোচনা হয়েছে বলেও সাংবাদিকদেরকে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জেএন/এমআর/পিআর