ফুটবল খেলায় লালকার্ড ও হলুদকার্ডের পাশাপাশি শাস্তিমূলক আরও একটি কার্ডের অবতারণা করালো আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি)।
শুক্রবার ভিন্নধর্মী শাস্তির জন্য নীলকার্ডের ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে ফুটবলের নিয়মনীতি প্রণয়নকারী সংস্থাটি।
গত বছরের নভেম্বর থেকে ফুটবলে নতুন কার্ড আনার প্রস্তাব করেছিলেন ফুটবল সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতারা। তারা মনে করছেন, মাঠে ম্যাচ অফিসিয়ালদের প্রতি খেলোয়াড়দের আচরণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই নিয়ম দরকার; যেন খেলোয়াড়রা ম্যাচের কর্মকর্তাদের সম্মানের দিয়ে কথা বলেন।
আবার বলা হয়েছে, খেলার মাঠে যদি কোনো খেলোয়াড় কৌশলগত ভাবে এমন কোনো ফাউল করেন যেটা আসলে লালকার্ড দেওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়; আবার হলুদকার্ডও কম শাস্তি হয়ে যায়, তখন রেফারি নীলকার্ড ব্যবহার করবেন।
এই কার্ডের ব্যবহার হিসেবে একটি উদাহরণও উঠে এসেছে। ২০২০ ইউরোর ফাইনালে লক্ষ্যভেদ করতে যাওয়ার একপর্যায়ে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জিও চিয়েললিনি পেছন থেকে ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় বুকায়ো সাকাকে জার্সিতে টেনে ধরছিলেন। তখন নীলকার্ডের প্রচলন থাকলে, ইতালিয়ান ডিফেন্ডারকে তা দেখানো যেত।
এই কার্ডের নিয়মানুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় নীল কার্ড দেখলে ১০ মিনিটের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন। ম্যাচের কোনো কর্মকর্তার প্রতি অশোভন আচরণেও এই শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রায় এক বছর ধরে বিষয়টি আলোচনায় থাকলেও এখনও ফুটবলের বড় আসর ও ম্যাচগুলোতে এর ব্যবহার হয়নি। এমনকি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা আমেরিকা ও ইউরো ২০২৪ এই কার্ড ব্যবহারের প্রতি তেমন আগ্রহ দেখায়নি।
কবে নাগাদ বাস্তবতায় রূপ নেবে নীলকার্ড, সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। বিষয়টি নিয়ে আগামী ১ মার্চ বৈঠকে বসবে আন্তজার্তিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। তখন দিক বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা।
জেএন/পিআর