মিয়ানমারে সামরিক জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির সংঘর্ষের তীব্রতা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে।
প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আসছে দেশটির সীমান্তরক্ষীরা। পালিয়ে আসা পুলিশ ও সেনা সদস্যদের কিছু অস্ত্র কক্সবাজার-বান্দরবানের সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের হাতে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে স্থানীয়দের হাতে যাওয়া দুটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি না থাকলে ছড়িয়ে পড়তে পারে অবৈধ অস্ত্র।
আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে প্রাণ বাঁচাতে অস্ত্রসহ বাংলাদেশে ঢুকছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশের সদস্যরা। আর এতে তৈরি হয়েছে তাদের অস্ত্র স্থানীয়দের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি।
ঘুমধুম-তুমব্রু-উখিয়া নোম্যান্স ল্যান্ডে প্রথমে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ধরা দেন মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশের সদস্যরা। সেখান থেকে তাদেরকে ভেতরে এনে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয়রা।
স্থানান্তরের এই সময়টুকুতেই তৈরি হয় মিয়ানমার পুলিশের অস্ত্র স্থানীয় সন্ত্রাসী আর ডাকাতদের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি। উখিয়ায় এরই মধ্যে স্থানীয়দের কাছ থেকে এমন দুটি অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন জানান, বিষয়টি নিয়ে সকারের সর্বোচ্চ মহল অবগত আছে। বিজিবি, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তে গোলযোগের সময় সুযোগের সন্ধানে থাকে কিছু মানুষ। এরা সীমান্ত পেরিয়ে আসা মানুষের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় জিনিসপত্র, কখনো কখনো অস্ত্র। সেই অস্ত্র চলে যায় ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের হাতে।
স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, এইসব অস্ত্র যদি সন্ত্রাসীদের কাছে চলে যায় তাহলে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অবশ্য এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এবিষয়টি নজরে রাখতে সব সময় টহল দেয় সাদা পোশাকের গোয়েন্দারা।
জেএন/পিআর