ভারতের ব্যাংকগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের চাহিদা বেড়েছে। সেই সঙ্গে দেশটির আমদানিকারকদের কাছেও মার্কিন মুদ্রার আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে ভারতীয় রুপির দর কমেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮২ দশমিক ৯৯ রুপিতে। আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৮২ দশমিক ৯৫ রুপি। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে ইউএস ডলারের বিপরীতে ভারতের মুদ্রার মান হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ০৪ শতাংশ।
আলোচ্য কর্মদিবসে ডলার সূচক দাঁড়িয়েছে ১০৪ দশমিক ২ পয়েন্টে। আগের দিন তা ছিল ১০৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বেকারত্ব কমেছে।
এর মানে দেশটির শ্রমবাজার শক্তিশালী রয়েছে। ফলে প্রধান বৈশ্বিক কারেন্সির মানে ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কিন ডলারের উত্থান ঘটেছে। তাই ভারতীয় রুপির দরপতন ঘটেছে। শুধু তাই নয়, এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রারও অবমূল্যায়ন হয়েছে।
এক বেসরকারি ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ী বলেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ফলে ভারতের সরকারি ব্যাংকগুলোতে মার্কিন ডলারের চাহিদা বেড়েছে।
সম্প্রতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। এরপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৮১ ডলার ৬ সেন্টে।
শিনহান ব্যাংক ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট অপূর্ব স্বরুপ বলেন, এরই মধ্যে ডলার শক্তিশালী হয়েছে। জ্বালানি পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে ভারতীয় রুপির অবনমন ঘটেছে।
জেএন/পিআর