নগরের আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পণ্য মেলা। বেলুন উড়িয়ে মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করেন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এ মেলা চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রোববার (২ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।
মেলা পরিষদের অর্থসচিব সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ও বিজয় মেলা পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেলা পরিষদের কো-চেয়ারম্যান নাঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, এম এন ইসলাম, কমান্ডার সাহাবউদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ, মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী, আইন শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক খোরশেদ আলম, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফ, নূর উদ্দিন চৌধুরী, আহমদ মিয়া, আশরাফুল আলম, রফিকুল আলম, আলী হোসেন, কামরুল আলম যতু, প্রদ্যুৎ কুমার পাল, লেয়াকত হোসেন, আবদুল হাফেজ, মো. হেলাল উদ্দিন, এসএম তৌফিক, শফিক আহমদ মুন্সী, মো. অহিদুল্লাহ, সার্জেন্ট আবু তাহের, এম এ সালাম, আবদুল ছবুর, এস এম হারুনুর রশিদ, আলাউদ্দিন, খায়রুল ইসলাম, মো. মিয়া ভোলা, নজরুল ইসলাম, তিতাস, আবু তাহের, এনায়েত আলী, রঞ্জন সিংহ, আশীষ গুপ্ত, শাহ আলম, শম্ভু দাশ, রফিকুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এ মাসে নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত করতে এ মেলার আয়োজন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনীকে পরাজিত করে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা ও ‘বাংলাদেশ’নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে গেছে। দেশের প্রতিটি উন্নয়নসূচক আজ দৃশ্যমান। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে আবারো বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনতে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানসহ সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও ভোট বানচালকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান বক্তারা।