সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোলচত্বর করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। এরমধ্যে ৪ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরে ৯টি গোলচত্বর করার জন্য ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়েছে।
চত্বরগুলোতে ঐতিহ্যের সঙ্গে মিল রেখে দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল করা হবে। পরের ধাপে ধাপে আরও আট স্থানে হবে গোলচত্বর। মোট ১৭টি গোলচত্বর নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।
সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপে চকবাজার, বহদ্দারহাট, একে খান মোড়, অলংকার, সল্ট গোলা ক্রসিং, সিমেন্ট ক্রসিং, কাটঘর, সাগরিকা ও ২ নম্বর গেইট মোড়ে হবে গোলচত্বর। এই নয়টি গোলচত্বরের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি টাকা।
দ্বিতীয় ধাপে নিউ মার্কেট, কোতোয়ালি, লালদিঘী, নয়াবাজার, বদিরুজ্জামান চত্বর, কাজীর দেউড়ি, জিপিও, কোর্ট বিল্ডিং ও টানেলের মুখে গোলচত্বর করবে সিটি করপোরেশন।
সিটও করপোরেশনের আওতায় ‘এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প থেকে এসব গোলচত্বরের নির্মাণ হবে। শিগগিরই এসব চত্বরের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহ-প্রকল্প পরিচালক মো. আশিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম শহরের চত্বরগুলোতে ভালো মানের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও শহরকে ঢেলে সাজাতে ১৭টি গোলচত্বর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে সিটি করপোরেশন। প্রথম লটে ৯টি স্থানে গোলচত্বরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি টাকা। পরের আরও ৮টি গোলচত্বর নির্মাণ করা হবে।’
স্থপতি শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, ‘যেখানে গোলচত্বর করা হবে ওই এলাকার ঐতিহ্যের সঙ্গে মিলিয়ে নকশা করা হয়েছে। গোলচত্বরে আলোকসজ্জাসহ নকশাগুলো আন্তর্জাতিক মানের করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে মোড়ে দুর্ঘটনাও কমে আসবে। নিরাপদ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্যও চত্বরের দরকার রয়েছে।’
জেএন/এমআর