সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মালঞ্চ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়া ২৫ কেজির জাভা মাছটি ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোংলা বন্দরের ব্যবসায়ী বেলায়েত সরদার মাছটি ক্রয় করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার মাছটির দাম পাঁচ লাখ ২০ হাজার বলেছিলেন শ্যামনগর থানার মুন্সীগঞ্জ এলাকার আবু মূসাসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী। তবে অধিক লাভে বিক্রির আশায় মাছটি ওই ব্যবসায়ীদের দেয়নি জেলেরা। মাছ বিক্রির টাকা নয়জন জেলের মধ্যে ভাগাভাগি হবে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বনবিভাগ থেকে পাস নিয়ে সুন্দরবনের নদীতে মাছ ধরতে যান উপকূলের নয় জন জেলে। শনিবার রাতে পশ্চিম সুন্দরবনের মালঞ্চ নদীর ফিরিঙ্গী এলাকা থেকে ২৫ কেজি ৩৬০ গ্রাম ওজনের মাছটি ধরা পড়ে শুকুর আলীসহ সঙ্গীয় জেলেদের জালে। তারা মাছটির দাম চান ৬ লাখ টাকা।
মানিক নামে এক জেলে বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেও চারদিন ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে মাছটি বিক্রি করতে পারিনি। ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধভাবে নির্দিষ্ট একটি দাম বলছিল। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে বাইরের ব্যবসায়ীদের সন্ধান করতে শুরু করি। একপর্যায়ে মোংলার কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে কথাবার্তা হয় আমাদের। মঙ্গলবার সকালে মাছটি নিয়ে মোংলা বন্দরে আসলে সেখানকার ব্যবসায়ীদের সাথে দরদাম করে দুপুরের দিকে পাঁচ লাখ টাকায় মাছটি বিক্রি করা হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে দরদাম করে চারদিন সময় নষ্ট না করে প্রথমে এখানে নিয়ে আসলে মাছটি চড়া দামে বিক্রি করা যেত। মাছ বিক্রির পুরো অর্থ নয়জন জেলের মধ্য সমানভাবে ভাগাভাগি হবে।
তিনি আরও বলেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবন সংলগ্ন নদী থেকে এ ধরনের মাছ জালে ধরা পড়ে তবে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে ন্যায্যমূল্য পেতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের।
শ্যামনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা তুষার মজুমদার বলেন, সুন্দরবনের নদীতে জেলেদের জালে ২৫ কেজির জাভা মাছটি ধরা পড়ার বিষয়ে জেনেছি। এই মাছের ফুলকা অত্যন্ত মূল্যবান, সাধারণত এই ফুলকা ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
তিনি আরও বলেন, জেলেদের ন্যায্য দাম পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। সাধারণত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাম তুলে তারপরে ক্রয় করে থাকেন। তবে জেলেরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সে বিষয়ে খেয়াল করা হবে।
জেএন/এমআর