তাওহীদ হৃদয়ের ঝড়ে কুমিল্লার দুর্দান্ত জয়

অনলাইন ডেস্ক

গ্যালারি পুরোপুরি ভরেনি। মাত্র অর্ধেক গ্যালারি। যেখানে ১০ ভাগও খুলনা টাইগার্সের সমর্থক নেই। খুলনার কোনো ব্যাটার একটি ভালো শট খেললে, কিংবা কোনো এক বোলার উইকেট পেলে পুরো গ্যালারিতে পিনপতন নীরবতা। কোনো আওয়াজ নাই। অন্যদিকে, কুমিল্লার কোনো ব্যাটার ব্যাটে বল লাগালেই গ্যালারিজুড়ে উল্লাস।

- Advertisement -

কুমিল্লা! কুমিল্লা!! স্লোগানও উঠলো বেশ কয়েকবার। গ্যালারিজুড়ে হাজির হওয়া দর্শকদের মন ভরিয়ে দিয়েছেন কুমিল্লার ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। খুলনা টাইগার্স বোলারদের একের পর এক আছড়ে ফেলেছেন বাউন্ডারির বাইরে। মোট ১৪বার। সমান ৭টি করে বাউন্ডারি এবং ছক্কার মার মেরে পুরো গ্যালারির হৃদয় জিতে নিয়েছেন তাওহিদ।

- Advertisement -google news follower

তাওহীদ হৃদয়ের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ওপর ভর করে খুলনা টাইগার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ নিয়ে টানা ৫ম পরাজয় দেখলো এনামুল হক বিজয়ের খুলনা। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর রাইডার্সের সমতায় উঠে এলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুধু রানরেটে পিছিয়ে রয়েছে তারা। ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ৫ম স্থানে খুলনা টাইগার্স।

মিরপুরে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে তাওহীদ হৃদয় খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৮ রানের ইনিংস। আজ আফসোস তিনি করতে পারেন, খুলনা টাইগার্স কেন আর কিছু রান বেশি করলো না।! তাহলে হয়তো আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতেন তিনি।

- Advertisement -islamibank

তাওহীদ হৃদয় সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৭ বলে ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ হৃদয়। ২১ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লার দলটি। জাকের আলি অপরাজিত থাকেন ৪০ রানে।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের সামনে হাতখুলে খেলতে পারেনি খুলনার ব্যাটাররা। আফিফ হোসেনের মত ব্যাটার ইনিংস ওপেন করতে নেমে ৩৩ বল খেলে যেখানে ২৯ রান করেন, তখন তাদের পুরো দলের অবস্থা কী হতে পারে, তা ছিল অনুমেয়। শেষ পর্যন্ত তারা করতে সক্ষম হয় ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান।

কুমিল্লার সামনে এই স্কোরটা যে যথেষ্ট নয়, তা প্রমাণ করে দিলেন তাওহিদ হৃদয়। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান উইল জ্যাকস আজ আউট হয়ে যান মাত্র ১৮ রান করে। লিটন দাস আউট হয় মাত্র ২ রানে। এরপর জনসন চার্লস বোকার মত ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন ১৩ রান করে।

কুমিল্লার সামনে সমস্যা বলতে এটুকুই তৈরি করতে পেরেছিলো খুলনার বোলাররা। এরপর বাকি কাজ সেরে দেন তাওহিদ হৃদয় এবং জাকের আলি। তারা গড়ে তোলেন ৮৪ রানের অনবদ্য জুটি।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ