আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের নির্যাতনের যে চিত্র, সেই কারণে তারা শাস্তির বাইরে যেতে পারে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে অনেকেই চিহ্নিত করেছে, তবে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার চিন্তা এখনো দলগতভাবে আওয়ামী লীগ করেনি। এখানে আদালতের বিষয় আছে। আইন আদালত তো মানতে হবে। বিএনপি সন্ত্রাসী দল… এটা কানাডার ফেডারেল আদালত বলেই দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তারেক জিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এটা জানিয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আদালত স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। আদালত জামিন দিয়েছেন। কাউকে জামিন দেওয়ার অর্থ এই নয়, তিনি অপরাধ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত। মামলা তো আছে, মামলা চলবে।
বিএনপি মহাসচিবের জামিনে মুক্ত হওয়ার পর দলটির আন্দোলন বেগবান হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন বেগবান হতে হতে পতন হয়ে যাবে। এখন পতনের গভীর খাদ থেকে কে উদ্ধার করবে? আমরা তো প্রস্তুত, রাস্তায় সদা জাগ্রত প্রহরী শেখ হাসিনার জন্য।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা যাকে ডামি নির্বাচন বলছে, প্রমাণ হয়ে গেছে তারাই ডামি বিরোধীদল। তারা নিজেরাই ডামি। তারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণই করেনি।
দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত জটিলতায় প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ (মেহেন্দীগঞ্জ-হিজলা) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের। এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, একজনের নাগরিকত্ব নেই, প্রশ্ন উঠছিল। সেখানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আসতে সময় লেগেছে। নির্বাচনের চার দিন পরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, তথ্য উপাত্ত সংঘটিত হয়। তখন তাকে নমিনেশন দিলেও বাস্তবে প্রতীক দেওয়া থেকে বিরত ছিল। কারণ এটা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ ছিল।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড যাচাই-বাছাই করে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে।
জনগণের ভোটে যারা নির্বাচিত হতে পারেন, তারাই সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেয়েছে, জনগণের রায়কে উপেক্ষা করা হলো কি না? এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আমাদের দলের ব্যাপার, এটা আমাদের বোর্ডের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কোনটা সঠিক হবে, কোনটা বেঠিক হবে, এটা যাছাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরুষের ব্যাপারে কোনো স্কোপ থাকে না। নারীদের ব্যাপারে সংরক্ষিত আসনে একটা সুযোগ আছে। এখানে জনগণের প্রত্যাখ্যানের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর