কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও স্ট্রেটেজিক মাস্টার প্ল্যান ২০১৪ অনুযায়ী কর্ণফুলীর নাব্যতা রক্ষার দাবীতে প্রতিবাদ মঞ্চের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
নগরীর অভয়মিত্র ঘাট সংলগ্ন কর্ণফুলী তীরে স্থাপিত এ প্রতিবাদ মঞ্চ আজ চতুর্থদিনের মতো অবস্থান নিয়েছে।
চতুর্থ দিনে আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ২১৮১ টি প্রদীপ জ্বালিয়ে কর্ণফুলীর তীরে হাইকোর্ট নির্দেশিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবী জানানো নয়। এতে প্রতিবাদ মঞ্চের সদস্যছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ অংশ নিয়েছে।
সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জলন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রতিবাদ মঞ্চের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, আজকের প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশ গ্রহন আবারো প্রমান করলো কর্ণফুলী দখল-দূষণমুক্ত হোক সেটা সকলের দাবী। জনগণের প্রতিরোধের মুখে কর্ণফুলী দখল করে অবস্থান নেয়া দূর্বত্তদের পালাতে হবে।
তিনি বলেন, যেভাবে দখল হচ্ছে, এই অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ চরম সংকটে পড়বে। তাই আমাদের স্লোগান হচ্ছে, নদী দখলকারী রাজাকার ভাই ভাই সকলের এক রশিতে ফাঁশি চাই।
প্রতিবাদ মঞ্চের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক আলীউর রহমান বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরিবর্তে নতুন করে দখর করা হচ্ছে। বন্দরের কর্মকর্তারা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কর্ণফুলীকে ধ্বংস করছে। চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ এই প্রতিবাদ মঞ্চে একত্রিত হয়ে কর্ণফুলী খেকো দূর্বত্তদের চিহ্নিত করে চট্টগ্রাম ছাড়া করবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার চট্টগ্রাম সমন্বয়ক মনিরা পারভিন রুবা, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার দাশ, অধ্যক্ষ মোনজ কুমার দেব, অধ্যক্ষ জনার্দন বণিক, সংগঠক রাজনীতিবিদ মিতুল দাশগুপ্ত, চট্টগ্রাম সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সহ সভাপতি জাফর আহমদ, আরকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী জাহেদুল করিম বাপ্পী, সমন্বয়ক সাংবাদিক মুজিব উল্ল্যোহ তুষার, তারেকশ্বর দস্তিদার স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সি ন ভৌমিক, রোটারিয়ান রোজি শাহ, মানবাধিকার কর্মী মোরশেদ আলম, মো.রাশেদ, কৃষিবিদ কাজী গোলাম মোস্তফা, এম শাহাদাত নবী, চরপাথরঘাটা সাম্পান সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আবুল।
আগামী কাল রোববার বিকাল চারটায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় সর্বস্তরের জনগণের অংশ গ্রহনে মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলা, বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র, আরএসকে ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্থরের মানুষ অংশগ্রহণ করবে বলে আশা প্রতিবাদ মঞ্চের।
জেএন/পিআর