প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, পাবলিক নির্বাচনগুলোতে অনিয়ম হবে না, সে নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। বড় বড় পাবলিক নির্বাচনে কিছু কিছু অনিয়ম হয়ে থাকে। আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি। বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে। তাই সেখানে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি।
বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীতে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি পাঁচ সিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ ধরনের নির্বাচনে অনিয়ম হয়েই থাকে। কিন্তু সিটি নির্বাচন খুব বেশি সুখকর ছিল না- এমনটা মানতে আমরা রাজি নই। নির্বাচনে অনিয়ম হলে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো।
ইসির ওপর জাতির আস্থা নেই- ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন কীভাবে দেখেন তা আমি জানি না। একটা কথা বলতে হলে পরিসংখ্যান দিতে হবে। জাতি কি তাকে বলেছে নাকি- আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না।
সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা হবে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
নির্বাচনের পরিবেশ পক্ষে আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভিন্ন ইস্যু। আন্দোলনকারীরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি।
এর আগে প্রতিবন্ধী ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া বিষয়ে এক কর্মশালার উদ্বোধন করেন তিনি।
জয়নিউজ/আরসি