কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার সদরঘাট ও অভয়মিত্র ঘাটের ইজারা ছয়মাসের জন্য স্থগির করেছে হাইকোর্ট।
অভয়মিত্রঘাট চরপাথরঘাটা সাম্পান সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আবুলের দায়েরকৃত রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক এই গত আদেশ প্রদান করেন।
১৫ ফেব্রুয়ারী রিটকারীর পক্ষে গত ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে দায়েরকৃত রিট মামলা নং ১৫১৬৩/২৩ দায়ের করলে আদালত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ একাধিক কর্মকর্তার পাটনিজীবি আইনের দশ নম্বর ধারা কেন সংশোধন করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
রুলের জবাব না দিয়ে গত ৩১ জানুয়ারী ঘাট ইজারার টেন্ডার দেয় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনার জন্য রিটকারী আইনজীবি মিজানুর রহমান আবেদন করলে আদালত আগামী ছয় মাস এই তিন ঘাপের ইজারা স্থগির রাখার নির্দেশ প্রদান করেন।
ঘাট ইজারার জন্য নির্ধারিত পাটনিজীবি নীতিমালার দশ নম্বর ধারায় বলা আছে, ইজারাদার নিজ দায়িত্বে বোট বা নৌকা দিয়ে যাত্রী পারাপার করবেন। কর্ণফুলী নদীর প্রতিটি ঘাটে শত শত সাম্পান মাঝি নিজেরা ঘাট ইজারা নিয়ে নিজে সাম্পান চালিয়ে যাত্রী পারাপার করে জীবন নির্বাহ করে।
পাটনিজীবি আইনের দশ নম্বর ধারাটা সাম্পান মাঝিদের পেশা টিকে থাকার ক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক। এই সুযোগ অপেশাদার ব্যবসায়ীরা প্রতিবছর অতিরিক্ত মূল্যে ঘাট ইজারা নেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করতে থাকে।
আদেশের বলা হয়, রুল জারি করার আদেশের সার্টিফাইড কপি পাওয়ার পর আবেদনকারী পেটিশনারদের পক্ষে অ্যাডভোকেট জনাব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান আদালতের দেওয়া আদেশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আবেদন করেন।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই আদালতের আদেশ না মেনে এবং পাটনিজিবি তালিকা সংশোধন না করে ৩১.০১.২০২৪ তারিখে ঘাট নিলামের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
যে কারণে গত ৩১ জানুয়ারী থেকে ০৬ (ছয়) মাসের জন্য টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত করা আদেশ দেয়া হলো।
জেএন/পিআর