ইলেকট্রনিক সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) কর্তৃক শিল্প বিভাগে দেশের সেরা অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে স্মার্ট গ্রুপের সিস্টার কনসার্ন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপো লিমিটেড।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ইসাব সেফটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে স্মার্ট গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সেফটি এক্সিলেন্স-চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ইসাব চারটি বিভাগ যথা আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, আরএমজি শিল্প এবং অন্যান্য শিল্প সেক্টরে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেয়। তাদের বিচারক প্যানেলে বুয়েট, কুয়েটের অধ্যাপক এবং দেশের প্রথিতযশা স্থপতিরা ছিলেন।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অথরিটি ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন ও এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী উপস্থিত ছিলেন।
বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের প্রথম শিল্প যেখানে সাধারণ ফায়ার ডিটেকশন, ফায়ার হাইড্রেন্ট এবং স্প্রিংকলার সিস্টেম ছাড়াও এর পুরো ২৪ একর ইয়ার্ড এবং ওয়ারহাউজ এলাকাজুড়ে অ্যালকোহল প্রতিরোধী ফোম ফায়ারফাইটিং সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে। সবধরনের বিপজ্জনক পণ্য হান্ডলিং করতে আইএমডিজি কোড অনুসারে রাসায়নিক সুরক্ষা বাড়াতে অফ-ডক ডিপোটির ওয়ারহাউজগুলোতে ৩০০টি রাসায়নিক ডিটেক্টরও ইনস্টল করা হয়েছে। এছাড়া ডিপোটিতে নিজস্ব ফায়ার ব্রিগেড রয়েছে, যাদের নেতৃত্বে ফায়ার এবং সিভিল ডিফেন্স অথরিটির একজন সাবেক কর্মকর্তা রয়েছেন।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন লাগার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর টানা ৮৬ ঘণ্টা আগুন জ্বলতে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই দুর্ঘটনায় আশপাশে থাকা ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও শ্রমিকসহ ৫১ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হন প্রায় দুই শতাধিক পাশাপাশি ১৫৬টি আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ওইসময় দুর্ঘটনার পরপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় ডিপোর কার্যক্রম। যদিও কয়েকমাস পর আবার খুলে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করে প্রশাসন, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সীতাকুণ্ড থানায় ডিপোর আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যদিও মামলাটিতে কারও দায় না পেয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিল পুলিশ।
জেএন/এমআর