রাজধানীতে সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই এবার নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একইভাবে আরেক শিশুর জীবন সংকটে পড়েছে। পরে অভিভাবকদের ক্ষোভের মধ্যে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে গেছেন।
বুধবার বিকেলে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, শিক্ষানবিশ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে আল নাহিয়ান তাজবীব নামে শিশুটির খতনা করার সময় তার গোপন অঙ্গের মাথার অংশ কেটে ফেলেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় আট বছর বয়সী শিশুটির। তার আর্তচিৎকারে বাবা আলমগীর হোসেন দ্রুত অপারেশন রুমে ঢুকে দেখতে পান, তাঁর সন্তানের রক্তে কেবিনের বেড ভিজে গেছে। এ সময় সৌরভ ভৌমিক দুই সহযোগীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শিশুটিকে হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে ডা. সেলিম বলেন, সৌরভ ভৌমিক শিক্ষানবিশ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে জরুরি বিভাগে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তিনি জানান, এ সময় জরুরি বিভাগে কর্মরত ছিলেন উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে। তাঁর অনুপস্থিতিতে সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে খতনা করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটান।
ডা. সেলিম বলেন, পুরো ব্যাপার সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। তিনি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়; এক সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলে কাটার স্থান শুকিয়ে যাবে।
শিশুটির বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে গরুর মতো তড়িঘড়ি করে খতনা করতে গিয়ে তার এ বিপদ ঘটিয়েছে। আমি তাদের ধরতে গেলে সৌরভ ভৌমিকসহ তিনজনই পালিয়ে যায়। আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমি জড়িতদের বিচার চাই।’
জেএন/এমআর