পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে আরো একবার বাড়ল চিনির দাম। প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন চিনির নতুন মূল্য ঘোষণা করে। এতে কেজি প্রতি চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৬০ টাকা।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ভোক্তাদের বিড়ম্বনার মধ্যেই রোজার আগে চিনির দাম বাড়ল।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে এই দাম ঠিক করা হয়েছে। এর আগে কেজিপ্রতি চিনির মূল্য ১৪০ টাকা নির্ধারণ করে সংস্থাটি।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে লাগামহীন পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে মনে করা হলেও শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে আসছে না পেঁয়াজ। দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত। এতে দেশটির প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল মহারাষ্ট্রের নাশিকের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে কমে ১৩ রুপিতে নেমে আসে।
দামের এই পতনে পেঁয়াজ চাষিরা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
এতে রপ্তানি বন্ধের প্রায় আড়াই মাসের মাথায় গত রবিবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তবে মঙ্গলবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আবার জানানো হয়, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে আনার প্রশ্ন নেই, বরং নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।
জেএন/পিআর