রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার উপনির্বাচনে মেয়র পদে খন্দকার সায়লা পারভীন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।
সায়লার স্বামী আবুল কালাম আজাদ রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি এই পৌরসভার মেয়র ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।
ফলে মেয়রের শূন্য পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ৪ মার্চ ভোটগ্রহণের কথা ছিল। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ভোট গ্রহণের আর প্রয়োজন নেই।
এদিকে তাহেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুবরণ করায় এ পদেও উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে কাউন্সিলর পদেও একজন ছাড়া অন্য সব প্রার্থী নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তাই ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদেও ভোটগ্রহণের প্রয়োজন নেই।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, মেয়র পদে শুধু খন্দকার সায়লা পারভীন ও তার ভাই তানভীর ইসলাম ফেরদৌস মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
যাচাই-বাছাইয়ে দুজনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এ দিন তানভীর ইসলাম ফেরদৌস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
একইভাবে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ছয়জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে আমিনুল হক নামে এক প্রার্থী ছাড়া অন্য সবাই তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
ফলে কাউন্সিলর পদেও আর ভোটগ্রহণের প্রয়োজন নেই। মেয়র-কাউন্সিলর দুজনেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
মেয়র হতে যাওয়া খন্দকার সায়লা পারভীনের বাবা আলো খন্দকার এই পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। দায়িত্বে থাকাকালে তিনি চরমপন্থিদের হাতে খুন হন।
তারপর ২০০৩ সালের উপনির্বাচনে এই পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন খন্দকার সায়লা পারভীন।
জেএন/পিআর