রোজার নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য চিনির চাহিদা সামাল দিতে তিন জাহাজে করে ব্রাজিল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে প্রায় পৌনে দুই লাখ টন অপরিশোধিত চিনি। এরমধ্যে একটি জাহাজের চিনি খালাস হয়ে গেছে। অপর দুটি থেকে চিনি খালাস চলছে।
বন্দর সূত্র জানায়, ব্রাজিলের সান্টোস বন্দর থেকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কার্গো জাহাজ ফিডেরাল কুডস ৬০ হাজার ৫শ টন চিনি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এসেছে। সেখানেই জাহাজটি থেকে চিনি খালাসের কাজ চলছে।
এছাড়া ব্রাজিলের রিও দে জেনেরিও বন্দর থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কার্গো জাহাজ কনকার থিওডেরস ৫৮ হাজার ৯শ টন চিনি নিয়ে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দরে। জাহাজটি এখনো বহির্নোঙ্গরে চিনি খালাসের কাজ করছে।
অন্যদিকে, ব্রাজিলের সান্টোস বন্দর থেকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি কার্গো জাহাজ বাহরি ঘাদাহ ৫৮ হাজার ২৬০ টন চিনি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে এসেছে। সেই চিনি খালাস করে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করেছে।
এদিকে, চট্টগ্রামে নিত্যপণ্যের প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চিনির দাম প্রতি মণ ৫০ টাকা বেড়ে বর্তমানে চার হাজার ৯৫০ টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যা খুচরা বাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকায়।
পবিত্র রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের মূল্য সংযোজন কর ও আমদানি শুল্ক কমিয়ে ক্রেতাদের বোঝা কমানোর উদ্যোগ নেয়। তবে এর সুফল খুব একটা মিলছে না বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে এবং পণ্য সরবরাহ কয়েক গুণ বেড়েছে।
তারা আরও জানান, শিগগিরই শুল্ক কমানো হচ্ছে জেনে ব্যবসায়ীরা গত ৮ ফেব্রুয়ারির আগের ১০-১২ দিন বন্দর থেকে পণ্য নেওয়া কমিয়ে দেন।
জেএন/এমআর