হত্যাকাণ্ডের বিচারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পিলখানায় ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হয়েছে, শিগগিরই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে।
আজ রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যা কিছুই হোক আমরা দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। আদালত স্বাধীন, তাই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। বিচারে কারও গাফিলতি নেই, সঠিকভাবে তদন্ত শেষ করতেই এই দীর্ঘসূত্রিতা।
এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পূর্ণ উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শাহাদতবরণকারী সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।
ওই ঘটনায় একটি হত্যা ও একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। হত্যা মামলায় ১৫২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে এসে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৪৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে।
জেএন/পিআর/এমআর