কর্ণফুলী থানার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী ইছানগর খাল সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাতের আঁধারে বাঁশের খুটি ও বাউন্ডারি দিয়ে দখল করে নিয়েছে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেছে আটটি পরিবেশবাদী সংগঠন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির সঞ্চালক কর্ণফুলী নদী ও এর শাখা খালগুলো। কর্ণফুলী নদী দখল ও দূষণমুক্ত করতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। এ নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ঐতিহ্যবাহী ইছানগর খাল দখল করা হয়েছে। আগামী দশদিনের মধ্যে খালের উপর দেওয়া সীমানা প্রাচীর সরানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
বক্তারা বলেন, ঝড়-তুফানের সময় এই খাল সাম্পান মাঝিরা আত্মরক্ষার পোতাশ্রয় হিসাবে ব্যবহার করে। খালটি দখল হয়ে গেলে ইছানগর গ্রামের ১৫-২০ হাজার মানুষ স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার শিকার হবে। ডুবে যাবে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান। তারা খাল উদ্ধার ও যথাযথ সংস্কারের দাবি জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ ও মানবাধিকার আন্দোলন পমা, গ্রিনক্লাব গ্লোবাল, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যাণ সমিতি, গ্রামীণ পরিবেশ ও কৃষ্টি উন্নয়ন সমাজ সৃষ্টি, মানব কল্যাণ সংস্থা উক্ত মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম সভাপতি আলীউর রহমান, সাংবাদিক আবসার মাহফুজ, গ্রিন এলায়েন্স বাংলাদেশ এর যুগ্ম সম্পাদক কবির হোসেন শিশির, দপ্তর সম্পাদক মো. কামাল পারভেজ, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, মানব সম্পদ কল্যাণ সংস্থার সম্পাদক ফরিদ হোসেন আবু, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির উপদেষ্টা জিন্নাত আলী লেদু, আবুল কালাম, সহ-সভাপতি জাকির আহম্মেদ, সহ-সম্পাদক আবদুল মালেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ সফি, প্রচার সম্পাদক আলাউদ্দিন আলো, ইছানগর বড় সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল আলম, ইছানগর সমাজকল্যাণ পরিষদের সহ সভাপতি তোরাব আলী, কামাল আহম্মদ ও আবু তাহের প্রমুখ।