থানচিতে পর্যটকদের মোবাইল-টাকা ছিনিয়ে নিল সন্ত্রাসীরা

অনলাইন ডেস্ক

বান্দরবানের থানচি উপজেলার ভেলাখুম ভ্রমণে যাওয়া একদল পর্যটকের কাছ থেকে ১৫টি মোবাইল ও ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের (কেএনএফ) ৬ জনের একটি গ্রুপ।

- Advertisement -

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভেলাখুম পর্যটন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

- Advertisement -google news follower

ছিনতাইয়ের শিকার পর্যটকেরা হলেন মো. হাসিবুর রহমান (৩২), মো. নাজমুল (২৫), মো. মাসুদ রানা (৩৮) ও মো. মারুফ (৩২)। তাঁরা ঢাকার সাভার এলাকার বাসিন্দা।

অপর একটি গ্রুপে অনিক মোরল (৪০)–জামালপুর, বিপুল (৪২)–পাবনা, মো. মেহেদী (৪০)–পটুয়াখালী, মো. নিয়াজ (৪০)–জয়পুরহাট, অনীমা (২২)–পাবনা, মো. আদেলউল্লহ (২৬)–ঢাকা, মো. সোহান (২২)–রাজবাড়ী, মো. ফাহিম (২৪)–ঢাকা, মোস্তাহিম (২২)–ময়মনসিংহ, মো. রেদুয়ান (২৫)–ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাসেল (২৭) ও সরিফা (২২)–ময়মনসিংহ, রুবাইয়া (২২)–টাঙ্গাইল, নোমান (২৭) ও নাজমুল (২৭)–নরসিংদী, আবদুল লতিফ (২৮)–ভোলা, মোহতাসেম (২৯)–বরিশাল এবং রাসেল (৩০)–জামালপুরের বাসিন্দা।

- Advertisement -islamibank

জানা যায়, গত শনিবার পর্যটক পথ প্রদর্শক মো. সাদ্দাম হোসেন চারজনের একটি গ্রুপ থানচি থানায় নিবন্ধন করে রেমাক্রীখুম হয়ে জিন্নাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে পার্শ্ববর্তী থুইসা খিয়ানপাড়া রাত্রি যাপন করে। পরদিন রোববার সকালে আমিয়াখুম ও ভেলাখুম পর্যটনকেন্দ্রে রওনা হন।

শনিবার একই সঙ্গে পথ প্রদর্শক মংহ্লা মারমা ১৮ জন পর্যটক নিয়ে থানায় নিবন্ধন করে রেমাক্রীখুম পর্যন্ত যাওয়া অনুমতি নিয়ে রওনা হয়। কিন্তু ওই ১৮ জনের মধ্যে চারজন নারী, ১৪ জন পুরুষ একই স্থানের থুইসা খিয়ানপাড়ায় রাত্রি যাপন করেন। রোববার মোট ২২ জন ভেলাখুম ও আমিয়াখুম পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে পায়ে ট্রেকিং করেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী অনিক মোদক বলেন, গত শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাফাকুম পর্যটন স্পটে ভ্রমণে যান দুই ভ্রমণ দলের ২২ জন সদস্য। যার মধ্যে চারজন নারী। পরে নাফাকুম ভ্রমণ শেষে রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভেলাখুম ও আমিয়াখুম স্পটে ক্যাম্পিং করেন তাঁরা। ওই দিন রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ৮ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাঁদের ক্যাম্পে হানা দেয়। পরে তাঁদের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ও ১৫টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।

অনিক আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের যে দলটি তাঁদের টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের কয়েকজনের পরনে খাকি পোশাক এবং বেইজে কেএনএফ লেখা ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

জানতে চাইলে পথ প্রদর্শক মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের লিখিত অনুমতি নিই, তবে প্রায়ই পর্যটক নিয়ে আমাদের প্রদর্শকেরা চলে যায়। কিন্তু তখন কিছু হয়নি। হঠাৎ করে অতর্কিতভাবে আমাদের পথ আটকিয়ে দেয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।’ তাদের আটজনের মধ্যে সাতজনের পোশাকের কেএনএফের ইউনিফরম ছিল বলে দাবি করেন তিনি। তবে সবার মুখোশ পরা এবং বাংলা সুস্পষ্ট বলতে পারে।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা কার্যালয়ে এসে জানালে তাদেরকে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

থানচি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম জানান, ২২ জন পর্যটক সবাই রেমাক্রী পর্যন্ত ভ্রমণে যাবে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন কিন্তু অতি উৎসাহী হয়ে তারা নিরাপত্তা না নিয়েই আমিয়াখুম ও বেলাখুম চলে যান।

তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় পথ প্রদর্শকের (গাইড) কোনো গাফিলতি রয়েছে কিনা এবং বিষয়টি সার্বিক তদারকির জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ শুরু করেছে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM