রমজানের আগেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম সর্বনিম্ন ৩৪ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা পর্যন্ত পয়সা কার্যকর হবে। দাম বাড়ানোর গেজেট আজই (মঙ্গলবার) জারি হতে পারে।
বিদ্যুতে বর্তমানে সরকার বছরে ৪৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, বিদ্যুতে ভর্তুকি থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ৩ বছর বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিদ্যুতের এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, একইভাবে গ্যাসের দামও সমন্বয় করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে গ্যাসের দাম কমানো হবে। এই সমন্বয়ও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্যকর করা হবে।
দাম বৃদ্ধির গেজেট আজ প্রকাশ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে, তবে সেটা বাসাবাড়ির গ্রাহক পর্যায়ে এখন দাম বাড়বে না।
আগের তুলনায় মার্কিন ডলারের দামের পার্থক্য ৪০ টাকার বেশি হওয়ায় সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সমন্বয়ে বাধ্য হচ্ছে বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে নসরুল হামিদ বলেন, আগামী ১ মার্চ থেকে গড়ে ৭ শতাংশ হারে বিদ্যুতের দাম বাড়বে।
তিনি আরও বলেছিলেন, আমি কিন্তু বারবার একটা কথা বলে আসছি, আমরা দাম বাড়াচ্ছি না। আমরা সমন্বয় করছি। পাইকারি পর্যায়েও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করা হবে। তবে ভোক্তাদের ওপর যাতে খুব বেশি প্রভাব না পড়ে, সেভাবেই বাড়ানো হবে দাম।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের ১৫ বছরের মেয়াদে গ্রাহক পর্যায়ে এ পর্যন্ত ১৩ বার বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। এছাড়া পাইকারি পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে ১২ বার। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম পাঁচ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়, যা ওই বছরের মার্চ থেকে কার্যকর হয়।
জেএন/পিআর