নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের পর এবার সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নে খতনা করার সময় শাহাদাত হোসেন (৭) নামের এক শিশুর লিঙ্গের একটি অংশ (মাথা) কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত হাজম মামুনকে (৩৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় লোকজন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লিঙ্গের কাটা অংশসহ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নদনা ইউনিয়নের সরকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিশু ওই বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে।
আটককৃত মামুন জেলার সুবর্ণচর উপজেলার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোনাইমুড়ীর বিভিন্ন স্থানে হেঁটে হেঁটে শিশুদের সুন্নতে খতনা করতো মামুন। বৃহস্পতিবার বিকালে শিশু শাহাদাতকে খতনা করানোর জন্য মামুনকে খবর দেওয়া হয়। পরে ওই বাড়িতে এসে ক্ষুর দিয়ে শিশুটির খতনার কাজ শুরু করে মামুন। এসময় শিশু শাহাদাতের লিঙ্গের সামনের (মাথা) অংশ কেটে মাটিতে ফেলে দেয় সে। এতে শাহাদাতের প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় লিঙ্গের মাথার কাটা অংশ সহ শাহাদাতকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং মামুনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীর হায়দার জানান, হাজাম দ্বারা খতনা করতে গিয়ে ওই শিশুর লিঙ্গের সামনের অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। পরে রোগীর স্বজনরা লিঙ্গের কাটা অংশসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এখানে লিঙ্গের কাটা অংশ ফ্রিজআপ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
জেএন/এমআর