বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড

সরকার চাইলে র‍্যাব তদন্ত করবে : ডিজি

অনলাইন ডেস্ক

র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে ঘটনার কারণ কী। অক্সিজেনের অভাবে বা শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কম। সরকার যদি চায় এখানে র‌্যাবকে তদন্তের ক্ষেত্রে প্রয়োজন… তবে আমরা তদন্ত করব। আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।

- Advertisement -

শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

- Advertisement -google news follower

এটা আবাসিক ভবন, করা হয়েছে বাণিজ্যিক। এক্ষেত্রে আপনারা তদন্ত করবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আবাসিক ভবন ছিল না-কি বাণিজ্যিক ভবন ছিল সেটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো তদন্ত করে দেখবে। কোনো ব্যত্যয় থাকলে তারা সেটি খতিয়ে দেখবে।

র‌্যাবের ডিজি বলেন, সরকার যদি বলে যে, এখানে তদন্ত করা প্রয়োজন, সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক করা হয়েছিল কি-না, তাহলে আমরা সেটি তদন্ত করে দেখব। কী উদ্দেশ্যে ভবনটি করা হয়েছিল, আর কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল, খতিয়ে দেখলে বের হবে।

- Advertisement -islamibank

তিনি বলেন, এখানে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল। সেখানে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, এখানে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে। আগুন যখন প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল, তখন তারা ফায়ার এক্সটিংগুইশার দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। কিন্তু পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

খুরশীদ হোসেন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আমাদের যদি মনে হয় এখানে ইনভেস্টিগেশন করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেটি করব। আমাদের ইন্টেলিজেন্স উইং এ ব্যাপারে কাজ করছে, তারা তথ্য সংগ্রহ করছে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত বহুতল ভবনে আগুন লাগে। এতে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।

তিনতলায় ছিল কাপড়ের দোকান। বাকি সব ছিল রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টগুলোতে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যে কারণে আগুনের তীব্রতা ছড়িয়েছে ভয়াবহভাবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM