কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতারণা মামলায় আদালতের পরোয়ানাভুক্ত গ্রেফতার এক বিএনপি নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা।
এ সময় তারা স্থানীয় নারীদের জড়ো করে তাদেরও পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহার করে। হামলার সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন পুলিশের দুই সাব ইন্সপেক্টর ও দুইজন কনস্টেবল। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকার আমিন মেম্বার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে মামুন প্রকাশ ছুট্টু ও এক নারীসহ দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামির নাম আনোয়ারুল আজিম প্রকাশ এরফান (৩০)। তিনি ওই এলাকার নুরুল আমিন মেম্বারের ছেলে এবং সাহারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতারণা মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি আনোয়ারুল আজিম প্রকাশ এরফানকে নিজ বাড়ি থেকে বুধবার ভোরে গ্রেফতার করে চকরিয়া থানা পুলিশ। এসময় সিনিয়র নেতাদের ইন্ধনে বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডাররা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়। এসময় স্থানীয় নারীদের জড়ো করে তাদের পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহার করে তারা। ছিনিয়ে নেওয়া হয় গ্রেফতারকৃত আসামি ও সাহারবিল ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আনোয়ারুল আজিমকে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, একটি প্রতারণা মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে। এই পরোয়ানা হাতে পাওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ। এ অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ইন্ধনে স্থানীয় বিএনপির ক্যাডাররা নারীদের জড়ো করে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ছিনিয়ে নেয় আনোয়ারুল আজিমকে। হামলায় পুলিশের দুই সাব ইন্সপেক্টর ও দুই কনস্টেবল জখম হয়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হামলায় জড়িত বিএনপি কর্মী মামুন প্রকাশ ছুট্টু এবং এক নারীকে আটক করা হয়েছে। হামলায় জড়িত অন্যদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’