দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানের্সবাগে প্রবাসী স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রোববার (৩ মার্চ) দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধ্যার দিকে জোহানের্সবাগ স্ট্রেটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো.মহিন ভূঞা (৩২) ও তার স্ত্রী রুনা আক্তার (২২)। তারা নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মহিন উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসলাম পাটোয়ারী বাড়ির মো. হোসেন ভূঞার ছেলে। রুনা একই উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নেরে জমাদার বাড়ির মো. লিটনের মেয়ে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অর্জুনতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) আব্দুর জব্বার।
তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যার দিকে সে দেশের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা আফ্রিকার জোহানের্সবাগ স্ট্রেটে মহিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। তখন তাদের সঙ্গে থাকা দুই শিশু সন্তান ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়।
আফ্রিকায় থাকা নিহতের ছোট দুই ভাই বিষয়টি দেশের বাড়িতে জানায়। প্রাথমিকভাবে এর থেকে বেশি কিছু আমরা এখনও জানতে পারেনি।
নিহতের ছোট ভাই মো. মফিজ ভূঞা বলেন, জীবিকার সন্ধানে আমার বড় ভাই মহিন ২০০৮ সালে প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান। প্রায় ছয় বছর আগে তার স্ত্রীকে নিয়ে যায়। আমার ভাবি ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। সন্ত্রাসীরা ভাবিসহ আমার বড় ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে।
ইউপি সদস্য আব্দুর জব্বার আরও বলেন, নিহত প্রবাসীর গ্রামের বাড়ির মসজিদের মাইকে তাদের মৃত্যু সংবাদ এলাকাবাসীকে জানানো হয়েছে।
এতে গোটা এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নিহতের পরিবার তাদের মরদেহ দেশে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ জানান, প্রবাসে যারা নিহত হয় তাদের লাশ আনার জন্য এবং দাফন করার জন্য একটি ওয়েজবোর্ড রয়েছে। আমরা সেই ওয়েজবোর্ডের মাধ্যমে তাদের লাশ দেশে আনার ব্যবস্থা করব এবং দাফনেরও ব্যবস্থা করব।
জেএন/পিআর