চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বাইপাস দক্ষিণঘাটা কড়ল এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ইসমাইল মিয়া নামে ১৮ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আরো ৮ জন।
নিহত ইসমাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বিরামপুর গ্রামের মৃত মলয় মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন, পরাগ (৪৫), আসাদ (৫০), ইউসুফ (৪৩), বাবু (৫৫), জামাল (৫০), শহীদ আলী (৫০), খলিল (৪৫), মুন আকতার (৩০)।
আহতদের মধ্যে একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তিনজন টিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং বাকি ৪ জন পটিয়া শেভরন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পটিয়া থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর থেকে একটি মালবাহী ট্রাক কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল।
একই সময় বিপরীত দিকে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা রাজধানী পরিবহনের একটি পিকনিক বাস পটিয়া বাইপাস দক্ষিণঘাটা কড়ল এলাকায় পৌছালে ট্রাকটির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে বাস ও ট্রাকের চালক-হেলপার এবং যাত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, রাতে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে স্থানীয়দের সহায়তায় বাস ও ট্রাকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তাদের মধ্যে ট্রাকে থাকা ইসমাইল মিয়া নামে এক যুবক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পটিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক লিটন চৌধুরী বলেন, রাতে গুরতর আহত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।
তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে দূর্ঘটনা কবলিত বাস ও ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানায় পটিয়া হাইওয়ে থানার ওসি তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই ওসমান মিয়া বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে হাইওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানায় পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তৌফিকুল ইসলাম তৌফিক।
জেএন/পিআর