মসলার মধ্যে সবচেয়ে দামি হচ্ছে এলাচ। এটি সাধারণত আমদানি হয়ে থাকে গুয়েতেমালা ও ভারত থেকে। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় এ মসলা পণ্যটি এখন সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে।
দেশের ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতিকেজি এলাচ কিনতে খুচরা বিক্রেতাকে গুনতে হয় দুই হাজার তিনশ থেকে ৩ হাজার টাকায়। অভিযোগ রয়েছে এলাচেও সিন্ডিকেটের কারসাজি হচ্ছে।
আজ সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরের দিকে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে এর সত্যতা মিলেছে। শুল্কসহ প্রতিকেজি আমদানি মূল্য সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা হলেও তা খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়।
এলাচের বৃহত্তম আমদানীকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ এন্ড কোম্পানিকে আমদানী মূল্যের তুলনায় অতিরিক্ত মূল্যে এলাচ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানের নের্তৃত্ব দেওয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ জরিমানা করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের এলসি পর্যালোচনা করে দেখা যায় শুল্কসহ এলাচের দাম কেজি প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা হতে পারে, সেখানে পাইকারি বাজারে বিক্রয় হচ্ছে ২৩০০ থেকে ৩০০০ টাকায়।
দ্গিুন দামে এলাচ বিক্রির দায়ে আমদানীকারক মেসার্স আবু মোহাম্মদ এন্ড কোম্পানিকে আজ প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে সামান্য জরিমানা করা হয়েছে, এরপর আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এছাড়াও বেশ কিছু মসলার দাম বেশী আছে বাজারে। আমরা চেস্টা করছি দাম বাড়ার কারণটি খুজে বের করার জন্য। বারবার হাতবদল বা ডিও/এসও বিক্রিও একটি কারণ হতে পারে।
এদিকে একই অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে আরো ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৩১ হাজার টাকা জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এরমধ্যে মূল্য তালিকা না থাকা, ক্রয় বিক্রয় রশিদ না রাখার অভিযোগে মদিনা ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, আজমির ভান্ডারকে ৩ হাজার, ও ফারুক ট্রেডার্সকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তাছাড়া সরাসরি ডিও/এসও বিক্রির দায়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজকে ১০ হাজার এবং দ্বীন এন্ড কোম্পানিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, রমজানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। আজ তৃতীয় দিনের অভিযানে বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসে চট্টগ্রামের বাজারকে কোন ভাবেই অস্থিতিশীল হতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে অভিযান আরও বাড়ানো হবে।
অভিযানে সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আবু বক্কর এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সার্বিক সহযোগিতা করেন।
জেএন/পিআর