অবশেষে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৪ সদস্যের এই কমিটি জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ বা মতামত দিতে হবে। পাবলিক পরীক্ষাসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি পর্যালোচনা করে তা চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে সুপারিশ করতে হবে।
এছাড়া পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, সংশোধন, পরিমার্জন এবং নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনা ও সুপারিশ দেওয়া।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলীর সই করা অফিস আদেশে এ কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।
১৪ সদস্যের এ কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন)। সদস্য সচিব হবেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (সরকারি মাধ্যমিক অধিশাখা)।
কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করবেন মাউশি, কারিগরি এবং মাদরাসা অধিদপ্তরের তিন মহাপরিচালক, এনসিটিবির চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (মাধ্যমিক-১), কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (কারিগরি অধিশাখা-২), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (বিদ্যালয়), ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ব্যানবেইসের পরিচালক, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), এনসিটিবির সদস্য (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. মোহসীন উদ্দিন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কারিকুলাম সংক্রান্ত একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হবে। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী এনসিটিবি এবং শিক্ষা কারিকুলামের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ও ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই বৈঠকে মূল্যায়নের জন্য বানানো ‘নৈপুণ্য অ্যাপ’ এবং নতুন কারিকুলামে কোন কোন দেশ থেকে রেফারেন্স নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত জানতে চান। এনসিটিবি থেকে সেসব তথ্য সরবরাহের পর কারিকুলাম এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণ ও মানোন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভা করে নতুন কমিটি গঠন করে দেন তিনি। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যালোচনা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর চলতি বছরেই তা বাস্তবায়ন করা হবে।
জেএন/এমআর