নতুন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি মাসে দাম সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দামে ‘বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জ্বালানি পাইপলাইন প্রকল্পের ডেচপাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে রিলায়েবল জ্বালানি দিতে চাই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ক্ষেত্রে একই কথা। আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের জ্বালানি তেলের দামে বিরাট পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। এর পর থেকে প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহে দাম নির্ধারণ শুরু করছি। স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা চালু করতে পারলে সেখানেও খরচ সাশ্রয় হবে। বিশ্ববাজারে যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, তাহলে তেলের ক্ষেত্রে দাম আরও কমে আসবে।
প্রথমবার দাম সমন্বয় করতে গিয়ে দেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে বলে মঙ্গলবারই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন প্রতিমন্ত্রী। তবে দাম কতটা কমবে, সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।
২০২২ সালের ৩০ আগস্ট তারিখের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চলতি মার্চ মাসের প্রথম দিনই মাসে মাসে দাম সমন্বয়ের নির্দেশিকা প্রকাশ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। সেই নির্দেশিকায় চলতি মাস থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানির দাম পুনর্র্নিধারণের ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের একটি অধিবেশন শেষে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দর সমন্বয় করার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেয়েছে। ফলে দাম নির্ধারণের এ পদ্ধতি চলতি সপ্তাহ থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
জেএন/এমআর