চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় এস আলম চিনিকলের গুদামের ৮০ শতাংশ অপরিশোধিত চিনি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রামে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এস আলম সুগার রিফাইনারি ফ্যাক্টরিতে গত ৪ মার্চ আগুন লাগে এবং ওই দিনই রাত সাড়ে ১০টায় আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করি, এখনো আগুন অল্প অল্প জ্বলছে। আমরা মনে করছি আজকের মধ্যে ইনশাল্লাহ আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করতে না পারলেও; ছোট ছোট পকেট হয়তো থাকতে পারে কিন্তু আগুন নির্বাপণই আমরা ধরে নেব।
‘সবচেয়ে ভালো সংবাদ যেটা, এখানে এক লাখ ১৬ হাজার মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত চিনি ছিল—যেখান থেকে সুগার তৈরি করা হয়, তার ৮০ শতাংশ আমরা রক্ষা করতে পেরেছি,’ বলেন তিনি।
এই ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারণ জানার পাশাপাশি এখান থেকে শিক্ষা নেওয়ার জন্য। সুগার রিলেটেড এত বড় অগ্নিকাণ্ড বাংলাদেশে প্রথম এবং এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার আছে।’
আগুনের খবর পাওয়ার পর থেকেই চিনিকলটিতে নেভানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডজনখানেক ইউনিট। সঙ্গে আছে পুলিশসহ তিন বাহিনীর সদস্যরাও।
কারখানা থেকে পানি মিশ্রিত কালো রঙের গলিত চিনি খাল-নালা হয়ে পড়ছে কর্ণফুলী নদীতে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
এদিকে দেশের অন্যতম বড় অপরিশোধিত চিনি আমদানিকারক এস আলমের গুদামে আগুন লাগার খবরে চট্টগ্রামের বেড়েছে চিনির দাম।
তবে এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আকতার হাসান বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রমজানে মিল থেকে চিনি সরবরাহে কোনো প্রভাব পড়বে না এবং শনিবার থেকে পুরোদমে পরিশোধিত চিনি বাজারে যাবে।
আর আগুন থেকে যে চিনি রক্ষা পেয়েছে তা বিএসটিআইসহ বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবহার করা হবে বলেও জানান মিলটির কর্মকর্তারা।