চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে সেবা প্রদানে বিভিন্ন অনিয়ম, ঘুষ গ্রহণ, দুর্ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক সজেকা চট্টগ্রাম-১ হতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করে।
মনসুরাবাদস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ে গ্রাহকেরা কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ কার্যালয়ে পরিচালক হিসেবে মোঃ সাইদুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে দালালদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সাধারণ গ্রাহক পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে। পাসপোর্ট আবেদন যে দিন জমা হয় সে দিন আপলোড না দিয়ে এক সপ্তাহ বা আরও পরে আপলোড দেয়ার কারণে সাধারণ গ্রাহক নির্দিষ্ট সময়ে পাসপোর্ট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আবার বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ের কতিপয় দালাল ও কর্মচারীদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট আবেদন জমা করলে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ে পাওয়া যায়। ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ের দুর্নীতি, অনিয়ম ও হয়রানির বিরুদ্ধে জাতীয়-স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দুদক টিম প্রথমে ছদ্মবেশে বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ে প্রবেশ করে কোনো অনিয়ম আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে এবং পাসপোর্ট করতে আসা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে বিভিন্ন কাউন্টার এবং ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের কক্ষ পরিদর্শন করা হয়। এ সময়ে আনসার সদস্য আমানুল্লাহ, পুলিশের কনস্টেবল রিয়াদের বিভিন্ন অনিয়মে সম্পৃক্ততা থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় পাসপোর্ট কার্যালয়ের গেটের সামনে থেকে একজন চিহ্নিত দালালকে হাতেনাতে আটক করেন দুদক। এরই মধ্যে অভিযোগকারী জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাসপোর্ট অফিসে আসেন। এরপর তাকে সঙ্গে নিয়ে পরিচালকের কক্ষে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট দুইজন কর্মচারীকে ডাকা হয়।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ এমরান হোসেন বলেন, অভিযুক্ত দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। একারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিচালককে জানানো হয়েছে। এছাড়া অনিয়মে সম্পৃক্ততা পাওয়া পুলিশ ও আনসার সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করার জন্য পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।
জেএন/এমআর