পবিত্র মাহে রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। সিয়াম সাধনার এই মাসটি শুরুর আগেই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে নিত্যপণ্যের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম। এক লাফে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।
শুক্রবার (৮ মার্চ) নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। শুক্রবার ব্রয়লার মুরগি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহেও ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর গরুর মাংস ৭৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। রমজানকে সামনে রেখে এই অস্তিরতা তৈরি হয়েছে বলে ক্রেতারা অভিযোগ করেন।
মাংসের মতো মাছের বাজারেও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সাইজ ভেদে তেলাপিয়া ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গেল সপ্তাহেও কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে বিক্রি হয়েছে। অন্য মাছের মধ্যে মাঝারি ও বড় আকারের চাষের রুই, কাতলা ও মৃগেল মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে শুরু করে সাইজ ভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৬০০ টাকার নিচে নেই পাবদা, টেংরা, কই, বোয়াল, চিতল, আইড় ও ইলিশ মাছ। মাছ যত বড় তার দাম ততো বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ মাংসের বাজার চড়া হলেও এখনো কিছুটা স্বস্তি আছে সবজির বাজারে।
বাজারে ভাল মানের আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। লম্বা বেগুন প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা, গোল বেগুন ৬০-৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। একই দামে মিলছে বাঁধাকপিও। শিম ৬০-৭০, টমেটো ৪০-৫০, করল্লা ৭০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০-৮০ টাকা মান ও সাইজভেদে লাউ ৭০-৯০ টাকা, শশা ৭০-৮০, মুলা ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সরিষা শাকের আঁটি ১৫ টাকা, ডাটা শাক ১৫ টাকা, পালং ১০-১৫ টাকা, লাউ শাক ৩০-৪০, লাল শাক ১৫ টাকা, বতুয়া শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে দোকানের তুলনায় ভ্যানে কিংবা ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রত্যেক সবজির দাম ৫-১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কিছুতেই কমছে না পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কিছুটা কমেছে আদা আর রসুনের দাম। নতুন রসুন ১৭০-১৯০ টাকা ও আদা ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জেএন/এমআর