রাত পোহালেই শুরু হচ্ছে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। রমজান শুরুর আগেই চট্টগ্রামের বাজারে নিত্যপণ্যের দাম যেনো আকাশ চুম্বি।
সবাইকে খুশি করতে ”মজুত পর্যাপ্ত, বাড়বে না দাম” এমন মুখস্থ বুলি আওড়ান ব্যবসায়ীরা। কোনো রোজাতেই ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে কাজের মিল খুঁজে পান না ভোক্তা। এবারও রমজান ঘিরে একই পথের পথিক ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১১ মার্চ) নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবজির বাজারে ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি মিলছে না।
নগরের বড় বাজার থেকে শুরু করে সব জায়গায় যেনো দাম বৃদ্ধি প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
বাজারগুলোতে দেখা যায় ইফতার আয়োজনের অন্যতম অনুষঙ্গ বেগুন, শসা, লেবু ও কাঁচামরিচের দামে লেগেছে আগুন।
অনেক গ্রাহক আগেভাগেই এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনে মজুদ করছেন। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।
খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। কয়েকদিন আগেও যা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
লেবু প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, প্রতি কেজি শসা ১শ থেকে ১২০ টাকায়, ক্ষিরা ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায়, আলু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি ১১০ টাকায়, মশুর ডাল ১৪০ টাকা, চিড়া প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা এবং মানভেদে খেজুর ২৯০ টাকা থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে চাল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা দামও বাড়তি। বাজারে সিদ্ধ চাল ৫৫ টাকা, আতপ চাল মানভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংসের বাজারেও একই চিত্র। ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, গরুর মাংস ৭৫০টা থেকে ৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছের বাজারে মাছ ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা এবং রুই মাছ ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, রমজান মাস আসলে প্রতিবছর যে কোন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাই। সেটা আমরা কিনলেও দাম বাড়ছে সেটা না কিনলেও দাম বাড়ছে।
পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হওয়ার পরও দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। অনেক গ্রাহক আগেভাগেই এসব পণ্য বেশি পরিমাণে কিনে মজুদ করছেন। যার প্রভাব পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের ওপর।
জেএন/হিমেল/পিআর