পবিত্র মাহে রমজান ও পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে যানজট নিরসন সংক্রান্ত বিষয়ে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সমিতি, ব্যবসায়ী সমিতি, মার্কেট ও দোকান মালিক সমিতি, হোটেল-রেস্তোরা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও থানা পুলিশের সাথে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের এক মতবিনিময় সভা আজ ১৩ মার্চ বুধবার ট্রাফিক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এডিসি (ট্রাফিক-দক্ষিণ) আকরামুল হাসান, এসি (ট্রাফিক-দক্ষিণ) মোঃ মারেফুল করিম, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ সগির, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, মেট্টোপলিটন পরিবহণ মালিক গ্রুপের মহাসচিব মোঃ জিয়াউদ্দিন শরীফ, আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সদস্য ফয়েজ আহমদ, ওসি (সদরঘাট) ফেরদৌস জাহান, টিআই (প্রশাসন) মোঃ রফিকুল ইসলাম, টিআই (কোতোয়ালি) অনিল বিকাশ চাকমা, টিআই (আন্দরকিল্লা) মোঃ জিয়াউল হাসান, টিআই (বাকলিয়া) অপূর্ব পাল, টিআই (সদরঘাট) মোঃ মুহিবুর রহমান, কোতোয়ালী পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আরমান হোসেন, পিআই (কোতোয়ালী) এবিএম মিজানুর রহমান, বাকলিয়া পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শহিদুর রহমানসহ নগরীর ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের অধীন বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, হকার্স ও হোটেল মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
সভার সভাপতি ও উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) সকল নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনে রমজান মাসে শপিং মল ও মার্কেট কেন্দ্রিক যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও যানজট নিরসনসহ ক্রেতা সাধারণ যাতে নির্বিঘেœ ঈদের কেনাকাটা করতে পারে সে বিষয়ে সময়োপযোগী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে যানজট নিরসন ও সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সিএমপি’র ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- নিউ মার্কেট, টেরীবাজার, বক্সির হাট, রেয়াজউদ্দির বাজারসহ বড়-ছোট সকল মার্কেট ও শপিংমল কেন্দ্রিক যানজট নিরসনের লক্ষ্যে রাস্তা ও মার্কেটের সামনে পার্কিং করা যাবেনা। মেইন রোড কেন্দ্রিক মার্কেট সমূহের সম্মুখ রাস্তার প্রবেশ পথ নিজস্ব জনবল দিয়ে পরিস্কার রাখা ও আগত যানবাহনে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। রিক্সা-সিএনজি অটোরিক্সা ও হকার মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তা দখল করে দাঁড়ানো কিংবা ডাবল লাইনে পার্ককৃত যানবাহন অপসারণ করা হবে। সকল গুরুত্বপূর্ণ ফুটপাতে পথচারীদের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ভাসমান দোকান-পাট অপসারণ করা হবে। দিনের বেলায় ভারী যানবাহন রাস্তার পাশে রেখে দোকান বা মার্কেটের মালামাল লোড-আনলোড থেকে বিরত থাকতে হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-পাট অপসার করতে হবে। সড়কের মূল পয়েন্টে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা থেকে বিরত থাকতে হবে।
আমতল ও নিউমার্কেট থেকে চলাচলকারী অটো টেম্পু, বাস ও মিনিবাস সমূহের সুশৃঙ্খল চলাচল নিশ্চিত করতে হবে এবং এ এলাকা ভাসমান হকারমুক্ত রাখা হবে। শাহ আমানত মার্কেট সংলগ্ন আমতল মোড় ও আশপাশের এলাকা সমূহে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী রিক্সা, সিএনজি অটো রিক্সা, ভ্যান, ঠেলাগাড়ি ও মোটর সাইকেল দাঁড়ানো যাবে না।
স্টেশন রোডে রেয়াজউদ্দিন বাজার ও গোলাম রসুল মার্কেটের প্রবেশ মুখে সব্জি, ফলমূল ও অন্যান্য পণ্যদ্রব্য সকাল ৮টার মধ্যে লোড-আনলোড করতে হবে। ব্যবসায়ী সমিতি কর্তৃক রাস্তার পাশে অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদপূর্বক ফুটপাত ও সড়কে নিরবচ্ছিন্ন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। যানবাহন চলাচলের সকল রাস্তায় সংশ্লিষ্ট সমিতির নিজস্ব লোকবল দিয়ে হকারমুক্ত রাখতে হবে। স্টেশন রোডস্থ ফুটওভার ব্রীজের পাশের রেলওয়ের খািল জায়গায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এন.এম নাসিরুদ্দিন বলেন, মার্কেট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবশ্যই বিকল্প পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা ও নিজস্ব পার্কিং প্লেস পূর্ণ হলে তা ডিসপ্লে করতে হবে। রাস্তার উপর কোন গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। পবিত্র রমজান মাসে ট্রাফিক পুলিশকে যানজট নিরসনে সহায়তা করার জন্য মার্কেট কমিটি কর্তৃক পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী ও ভলান্টিয়ারদের জ্যাকেটসহ নির্দিষ্ট পোশাককের ব্যবস্থা করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগের সাথে সমন্বয় ও যোগাযোগ করার জন্য মার্কেট কর্তৃপক্ষের ফোকাল প্রতিনিধি নির্ধারণ করতে হবে। যেসব মার্কেটের পার্কিং স্থান ব্যবহৃত হয় না সে সকল পার্কিং স্থান খুলে দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং মার্কেটের সম্মুখ রাস্তা বা প্রবেশপথ নিজস্ব জনবল ধারা পরিষ্কার রাখাসহ আগত যানবাহনের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।
জেএন/এমআর