একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ নং সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় কোনো ধরনের দায়-দেনা না থাকলেও, গত পাঁচ বছরে দায়-দেনা বেড়েছে তাঁর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী পুবালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে ১ কোটি টাকা দায় রয়েছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেওয়া হলফনামায় কৃষি থেকে তাঁর আয় ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩৭৫ টাকা এবং ব্যবসা থেকে ২০ লাখ টাকা উল্লেখ ছিল। পাঁচ বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে কৃষি থেকে ৩ লাখ আর ব্যবসা থেকে ৫৫ লাখ টাকায়। অন্যদিকে স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে অকৃষি জমির পরিমাণ ৬০ একর থেকে বেড়ে ৮৪ একরে দাঁড়িয়েছে, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৫৫ লাখ টাকা বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে। হলফনামায় একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মূল্য দেখানো হয়েছে ৬৫ লাখ টাকা, যা আগে ছিল ২০ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে নির্মাণাধীন বাড়ির মূল্য ২৫ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী নগদ টাকার পরিমাণ ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর স্ত্রীর কাছে ৩ লাখ টাকা আছে।
বর্তমানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যা আগে ছিল ২২ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ১৪ লাখ টাকা। যা পাঁচ বছর আগে ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের নামে ২৮ ভরি স্বর্ণের মূল্য দেখানো হয়েছে ১২ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২টি প্রাইভেট কার ও ১টি ল্যান্ড ক্রুজারের দাম দেখানো হয়েছে ৮০ লাখ টাকা।
স্ত্রীর নামে পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে ১৪ লাখ টাকা। এছাড়া ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে বছরে সম্মানী পেয়ে থাকেন ১২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে সরকারি চাকরীজীবী স্ত্রীর বার্ষিক আয় ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬৪ টাকা দেখানো হয়েছে।
দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের সাথে দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
পেশায় ব্যবসায়ী স্নাতক পাশ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলেও হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।