বরকতময় পবিত্র মাহে রমজান মাসের প্রথম জুমার নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। আজ নগরের রাজধানীর প্রতিটি মসজিদ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। নামাজে অংশ নিতে নির্ধারিত সময়ের আগেই মুসল্লিরা আসতে থাকেন মসজিদে। আজানের পর পরই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ।
এদেরই একজন মঞ্জুর মোরশেদ। আকবরশাহ থেকে এসেছেন জাতীয় মসজিদে নামাজ পড়তে। জানালেন, রোজার প্রথম জুমা আজ, তাই আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে আগেভাগেই চলে এসেছেন। দেরি করলে জায়গা পাওয়া যায় না। পরিবারসহ দেশবাসী ও মুসলিম বিশ্বের জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ সবাইকে কবুল করেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম জুমার নামাজ আদায় করেন দেশবাসী। রহমতের দশকের চতুর্থ রোজায় পড়েছে বরকতময় এ জুমা।
বেলা সোয়া ১২টার পর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে মসজিদে। দুপুর পৌনে ১টা বাজতে না বাজতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয় মসজিদের ভেতর বাহির প্রাঙ্গণ।
দূর-দূরান্ত থেকে নামাজ পড়তে মসজিদে ছুটে আসেন মুসল্লিরা। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় নামাজ পড়েন মুসল্লিরা।
আরেক মুসল্লি মিজানুর রহমান বলেন, রমজান মাসের জুমায় সওয়াবের পরিমাণ অনেক বেশি। তাই কাজ শেষ করে চলে এসেছি।
পাহাড়তলী থেকে এসেছেন একজন মুসল্লি তিনি বলেন, সাধারণত জুমার নামাজ এলাকার মসজিদেই পড়ি। তবে রমজানের প্রথম জুমাটা জমিয়তুল ফালায় পড়তে চেয়েছিলাম, তাই চলে এলাম।
এদিকে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। মসজিদ প্রাঙ্গন ভর্তি হয়ে মুসল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন আশপাশের জায়গা ও রাস্তায়। মুসল্লি আলমগীর বাদশা বলেন, সাধারণত জুম্মার নামাজ এলাকার মসজিদেই পড়ি। তবে রমজানের প্রথম জুম্মায় অফিস থাকায় এখানে নামাজ আদায় করতে এসেছি।
নামাজে আল্লাহর দরবারে নিজেকে সঁপে দেন মুসল্লিরা। পরে পরিবার, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়ায় অংশ নেন তারা। এ সময় দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।
এদিকে নিরাপত্তা জোরদারে ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে ওয়াসা মোড় থেকে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ পর্যন্ত সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।
জেএন/এমআর