স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর সাংগঠনিক তৎপরতা

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের পুরোনো জেলাগুলোর মধ্যে সাহিত্য রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা-দীক্ষা সব ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য অন্যতম জেলা শহর বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুগভীর সম্পর্ক এবং প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। শুরু থেকেই তিনি চট্টগ্রামে অনেক সঙ্গী পেয়েছিলেন। কলকাতায় ১৯৪৭ পূর্ববর্তী সময় থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চট্টগ্রামের নেতাদের সঙ্গে বিশেষ করে এম এ আজিজ এবং জহুর আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার শুরু হয়েছিল। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সভা সমাবেশ করে চট্টগ্রামবাসীকে সংগঠিত করেছেন। তবে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবহুল জায়গা লালদীঘি ময়দান। বঙ্গবন্ধুর বেশির ভাগ জনসভা গুলো লালদীঘি ময়দানে হয়েছে।

- Advertisement -

১৯৪৯ সালের আগস্ট মাসে আওয়ামী মুসলিম লীগের জনসভায় সভাপতিত্ব করেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় দশ হাজার লোকের সমাবেশে লাল দীঘিতে বক্তব্য রাখেন। বঙ্গবন্ধু তার বক্তব্যে বিরাজমান খাদ্য ও বস্ত্র সংকটের তীব্র সমালোচনা করেন। ১৯৪৯ সালের ২৬ আগস্ট তারিখের ওই জনসভায় স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বজলুস সাত্তার, জহুর আহমদ চৌধুরীও বক্তৃতা করেছিলেন। ১৯৫২ সালের নভেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রাম সফরে আসেন। সঙ্গে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

- Advertisement -google news follower

লালদীঘি ময়দানে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালের ১৬ নভেম্বর। এই জনসভায় প্রায় ৫০০০ লোকের সমাগম হয়েছিল। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাড়াও জহুর আহমদ চৌধুরী, আবদুল জব্বার খদ্দর, এম এ আজিজ, এডভোকেট আতাউর রহমান খান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

১৯৫৩ সালের জানুয়ারি মাসের ১৩ তারিখে লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী মুসলিম লীগ চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। আবদুল জব্বার খদ্দরের সভাপতিত্বে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। এই সভাটি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ আওয়ামী মুসলিম লীগ সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তখন কারারুদ্ধ। সভায় বক্তারা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবীর পাশাপাশি তার চিকিৎসার জন্য উপস্থিত জনতার কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাওয়া হয় এবং তাৎক্ষণিক উপস্থিত জনতার কাছ থেকে তিনশ টাকা সংগ্রহ করা হয়। (গোয়েন্দা প্রতিবেদন, খণ্ড-৩ পৃ. ২৫-২৭)

- Advertisement -islamibank

১৯৫৫ সালের ২৮ মে তারিখে মওলানা ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক সফরে চট্টগ্রামে আসেন। সফরসূচি নির্ধারিত হয়েছিল : ১৯৫৫ সালের ২৯ মে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত জে এম সেন হলে কর্মীদের কনভেনশন, বিকাল ৪-৩০ টা থেকে লাল দিঘিতে জনসভা, ৩০ মে তারিখ দুপুর ২.৩০ টায় হাটহাজারিতে জনসভা, বিকাল ৪.৩০টায় রাউজানে জনসভা, ৩১ মে দুপুর ২.৩০টায় বাঁশখালী এবং ১ জুন তারিখ দুপুর ২.৩০টায় আনোয়ারায়, ২ জুন তারিখে পটিয়ায়, ৩ তারিখ বিকেল ৩টায় চিরিঙ্গা এবং ৪ তারিখ বিকেল ৩টায় কক্সবাজার জনসভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়েছিল। নির্ধারিত সফর সূচি অনুযায়ী ১৯৫৫ সালের ২৯ মে তারিখে লালদীঘি ময়দানে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রায় ৭০০০ লোকের সমাগম হয়েছিল। সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আলির সমালোচনা করেন। এ ছাড়াও ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন ইত্যাদি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

জনসভায় শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মুসলিম লীগের সঙ্গে আঁতাতের কথা তুলে ধরা হয়। ১৯৫৫ সালে ডিসেম্বর মাসে আবারও এক সফরে এসে বঙ্গবন্ধু লালদীঘির জনসভায় বক্তৃতা করেছিলেন। ১৯৫৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তারিখের লালদীঘির জনসভায় মওলানা ভাসানী সভাপতিত্ব করেছিলেন। ১৯৫৬ সালের ১৬ মে তারিখে লালদীঘিতে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। জনসভায় চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এম এ আজিজ সভাপতিত্ব করেন। সভায় বঙ্গবন্ধু খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে বক্তৃতা করেন। (গোয়েন্দা প্রতিবেদন, খণ্ড-৪, পৃ. ৪২৯-৪৩১)

১৯৬৪ সালের ১০ এপ্রিল তারিখে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তৃতা করেন। এই জনসভাতে প্রায় এক লক্ষ লোকের সমাগম ঘটে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রচারণা কে কেন্দ্র করে ১৯৬৪ সালের অক্টোবর মাসে লালদীঘি ময়দানে কয়েক লক্ষ লোকের সমাবেশ ঘটেছিল। আইয়ুব খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতেমা জিন্নাহকে সঙ্গে করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মওলানা ভাসানী এবং আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লালদীঘির সমাবেশে অংশ নেন।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু বেশ কয়েকবার চট্টগ্রামে আসেন। ১৯৭০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চট্টগ্রামে সম্ববর্ধনা দেওয়া হয়। এই সম্ববর্ধনায় ৩ মাইল লম্বা শোভাযাত্রা এবং ৫৩টি তোরণ নির্মিত হয়েছিল। দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছিল ‘আওয়ামী লীগ- প্রধান শেখ মুজিবর রহমান আজ বিমানযোগে এখানে আসিয়া পৌঁছাইলে সম্বর্ধনা জ্ঞাপনের জন্য আগত হর্ষোৎফুল্ল এক বিরাট জনতা তাদের প্রিয় নেতাকে ঘিরিয়া ধরে। আনন্দমুখর মানুষের ক্রমবর্ধমান ভিড়ের মধ্য দিয়াই তাহার জিপটি পতেঙ্গা হইতে হোটেল শাহজাহানে (৮ মাইল) পৌঁছাইতে ২ শত ৩০ মিনিট সময় লাগে। আইয়ুব সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামে শেখ মুজিবের এটা দ্বিতীয় সফর। আজকের এই ঐতিহাসিক সংবর্ধনায় চট্টগ্রামবাসীর যে আন্তরিকতা মুর্ত হইয়া ওঠে তা অবিস্মরণীয়। (দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) কিন্তু এবারে বঙ্গবন্ধু লালদীঘির পরিবর্তে ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ভাষণ দেন।

পলোগ্রাউণ্ডের এই ঐতিহাসিক জনসভায় জহুর আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক নিউজ শিরোনাম করেছিল ‘লবণ শুল্ক রহিত, ইস্পাত মিলের লোকসান সম্পর্কে তদন্ত, কাপ্তাই হ্রদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ চাই। দা, কুড়াল আর ঢাল তলোয়ারের ভয় দেখাইয়া বাংলার মানুষকে নির্বাচনের সুযোগ ও স্বায়ত্তশাসনের সংগ্রাম হইতে বিরত করা যাইবে না। (দৈনিক ইত্তেফাক, ৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭০) এই সময় চট্টগ্রামের জনসভাগুলোতে প্রচুর জনসমাগম ঘটতো। তিল ধারণের ঠাঁই থাকত না। চট্টগ্রামের জনসভা থেকে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিতেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান বন্যার অজুহাতে ১৯৭০ সালের নির্বাচন পিছিয়ে দেন। এতে বঙ্গবন্ধু সতর্কবাণী দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের জনসভা থেকেই। ১৯৭০ সালের ৯ আগস্ট তারিখে তিনি চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। এই প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম আর সিদ্দিকী।

চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটি শক্ত ভিত্তির উপর দাড় করানোর জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামের মফস্বল অঞ্চলেও ছুটে বেড়িয়েছিলেন। যে সকল স্থানে তিনি গেছেন ১৯৫২ সালের নভেম্বর মাসে চট্টগ্রাম সফরে এসে সীতাকুন্ডের কুমিরা, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম কোর্ট প্রভৃতি স্থানে জনসভা করেন। বঙ্গবন্ধু এই সকল জনসভায় মুসলিম লীগ সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি মওলানা ভাসানীর মুক্তি দাবী করেছিল। ১৯৫৩ সালের জানুয়ারি মাসে চট্টগ্রাম সফরে এসে বঙ্গবন্ধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীকে নিয়ে হাটহাজারী ও সাতকানিয়া সফর করেন।

১৯৫৫ সালের ৩০ মে তারিখে রাউজানে জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পাশাপাশি স্থানীয় গহিরা নিবাসী আবদুল হাই বক্তৃতা করেন। ১৯৫৫ সালের ৩১ মে তারিখে বাঁশখালির জলদি এইচ ই স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯২ ক ধারা, জমিদারী প্রথা বাতিল, যুক্তফ্রন্ট ইত্যাদি বিষয়ে বক্তৃতা করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন তিনি আসহাব উদ্দিন এম এল এ কে কথা দিয়েছিলেন মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বাঁশখালি আসবেন। তিনি সেটা রাখতে পেরেছেন বলে বক্তৃতা শুরু করেন। মওলানা ভাসানী, অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন চৌধুরী এম এল এ, এবং ফরিদপুরের আবদুল হামিদ চৌধুরী এম এল এ বক্তৃতা করেন (গোয়েন্দা প্রতিবেদন, ভলিউম ৪, পৃ. ২৭৬-২৭৯)। ১৯৫৫ সালের ২ জুন তারিখে পটিয়ায় আওয়ামী মুসলিম লীগের উদ্যোগে জনসভায় বঙ্গবন্ধু বক্তৃতা করেন। চট্টগ্রামে ১৯৭০ সালের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ডবলমুরিং, পাঁচলাইশ, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী প্রভৃতি জায়গার অনেক জনসভায় বক্তব্য রেখেছেন।

১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের একাধিক সম্মেলন এবং কনভেনশনে যোগ দিয়েছেন। এই সকল সম্মেলন বা কর্মী বৈঠকগুলো বেশিরভাগই হয়েছে চট্টগ্রামের জে এম সেন হলে। উল্লেখযোগ্য সম্মেলনগুলোর মধ্যে ১৯৪৯ সালের ২৫ আগস্ট তারিখের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী মুসলিম লীগের কর্মী সমাবেশ এবং ১৯৫০ সালের কর্মী সম্মেলন ছিল উল্লেখযোগ্য। ১৯৬৪ সালের ৯ এপ্রিল তারিখের জে এম সেন হলে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে অত্যন্ত আবেগময় ভাষায় বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এই দেশ আমার, এই মাটি আমার, এই নদী আমার; এই দেশের সত্যিকার মুক্তির জন্য, এই মাটির আজাদীর জন্য, এই বাতাসকে নির্মল করার জন্য, এ নদীতে জোয়ার আনার জন্য আওয়ামী লীগ সংগ্রাম করিয়া যাইবে।

চট্টগ্রামের রাজনীতির সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্নভাবে মিশে আছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পারিবারিক অনেক স্মৃতিতেও চট্টগ্রাম উচ্চ স্থান দখল করে আছে। বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচায় প্রসঙ্গক্রমে চট্টগ্রামের অনেক স্মৃতি তুলে ধরেছেন। বন্দর শহর চট্টগ্রাম শহর থেকে দুরের প্রত্যন্তজনপদে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, মাতৃভাষার মর্যাদা, স্বাধিকার আদায়ের দাবিনামা পেশ এবং সর্বোপরি মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি চট্টগ্রামকেই বেছে নিয়েছিলেন।

ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম : প্রফেসর, ইতিহাস বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM