বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার মুহূর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ অ্যাকশনে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল। তবে নাবিক, ক্রু এবং অন্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাংলাদেশ সরকার অ্যাকশনের অনুমতি দেয়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই ভারতীয় নৌবাহিনীর বিমান পুরো এলাকা সার্চ করে আমাদের জাহাজটি সোমালি দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে সেই তথ্য নিশ্চিত করে। সেখানে কাছাকাছি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ তাৎক্ষণিক দস্যুদের চ্যালেঞ্জ করার জন্য আমাদের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের লোকজনের প্রাণরক্ষায় আমরা সে পথে যাইনি। এখন নেগোশিয়েশন চলছে কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে নাবিক, ক্রুদের কোনো রকম ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি উদ্ধার করা যায়।
তিনি আরও বলেন, জাহাজ চলাচল নির্বিঘ্ন এবং নিরাপদ রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি দেশের টহল জাহাজ গভীর সমুদ্রে থাকে। এসব জাহাজের বিশেষ কাজ জলদস্যুতা প্রতিরোধ করা। তবে হুতিদের প্রতি এটেনশন দিতে কিছু জাহাজ ব্যস্ত থাকার গ্যাপে সুযোগ নিয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। বেশ কয়েক মাস যাবত তারা বড় জাহাজ জিম্মি করার অপেক্ষায় ছিল। সাগরের প্রায় ১৩০০ নটিক্যাল মাইল ভেতরে গিয়ে তারা আক্রমণটি করেছে।
ওই পথে জাহাজ চলাচলে সতর্কতা অবলম্বনের একটি নোটিশ থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ সঠিক পথেই ছিল। বৃটেনের তরফে সেটা জারিকৃত সেই ডেঞ্জার জোনের একশত নটিক্যাল মাইল দূর দিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশের জাহাজটি। তবে ২৫০ থেকে ৩০০ নটিক্যাল মাইল ভেতর দিয়ে গেলে হয়তো বিপদ এড়ানো যেতো।
সবশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় দফায় গ্যারাকাড উপকূল থেকে ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে সোমালিয়ার ‘গোদবজিরান’ উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে জাহাজটি নোঙর করা হয়েছে। জলদুস্যদের পক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত জাহাজের মালিকপক্ষ বা সরকারি কোনো সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।’
জেএন/এমআর