‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শোকরানা মাহফিলে আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে মুসাফা করিনি। আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি মাথার উপর কাপড় দিয়ে মঞ্চে বসেছিলাম। এসময় প্রধানমন্ত্রী একবার আমার দিকে এসে অন্যদিকে চলে যান। আবার এগিয়ে আসলে আমি আঙ্গুল দিয়ে ওনাকে ওদিকে চেয়ার আছে বলে বসার আহ্বান জানাই। এসময় তার হাতের সঙ্গে আমার আঙ্গুল লেগে যায়। এছাড়া মাহফিলে আগত শ্রোতাদের উদ্দেশে দুইটি মাসয়ালার বিষয় বর্ণনা করতে গিয়ে বলি, মহিলা যদি বৃদ্ধ হয় তার সাথে মুসাফা করা যেতে পারে। তাছাড়া হাদিসে আছে একটি মাসয়ালা জানলে ১শ রাকাত নফল নামাজের সওয়াব।’
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে হাটহাজারী পার্বতী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে আল-আমিন সংস্থার তিনদিনব্যাপী তাফসীর ও কেরাত মাহফিলের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হেফাজত ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফী এসব কথা বলেন।
হাটহাজারী মদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা শেখ আহমদের সভাপতিত্বে মাহফিলে হেফাজত আমীর আলোচিত মাওলানা সাদের অনুসারীদের উদ্দেশে বলেন, মাওলানা সাদ এর মনগড়া তাফসীর এবং আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আক্বীদা-বিশ্বাস বিরোধী বয়ান সম্পর্কে বিশ্বের শীর্ষ আলেমরা ফতোয়া দিয়েছেন। তার অনুসরণ বৈধ নয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরও যারা তার অনুসরণ করে চলেছেন, বাংলাদেশে তার পক্ষে কাজ করছেন তাদের বলবো, আপনারা তওবা করুন। আলেমদের দেখানো পথে দাওয়াতে তাবলিগের মেহনত করুন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আহসান উল্লাহর সঞ্চালনায় তাফসির মাহফিলে তিন পর্বের অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা সলিমুল্লাহ ও মাওলানা আনাস মাদানী। এতে বয়ান করেন মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা ইসমাঈল খান, ড. নূরুল আবছার ও মুফতী রাফি বিন মুনির প্রমুখ।