চট্টগ্রাম মহানগরীর মেহেদীবাগে একটি নকল ওষুধ কারখানার সন্ধান পেয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে ওই এলাকার শহীদ মির্জা লেনে নূর ভিলা নামক একটি ভবনে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়েই ধরা পড়ে এ নকল ওষুধের কারবার।
অভিযানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট পরিচালনা করা, লাইসেন্স ছাড়া ঔষধ মজুদ ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ঔষধ মজুদ, দামের তারতম্য এর মতো গুরুতর অপরাধ পরিলক্ষিত হয়।
ফলে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণে নকল ও অনুমোদনহীন ঔষধ জব্দের পাশাপাশি একজনরে কাছ থেকে জরিমানা এবং অপর একজনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে জব্দ করা নকল ওষুধের মধ্যে রয়েছে Nerve-Dx, Fair Soap, Virogel, Virocon, Vh-Lotion, Uni-Bion, Uni-D3, Uni Vis, J-One, J-Bion, J-Roba, J-Pollen, S-Bole সহ বিভিন্ন ব্রান্ডের ওষুধ।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব চট্টগ্রাম কাট্টলী সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ঔষধ মজুদ ও সরবরাহ এবং আভিযানিক টীমের সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অপরাধে মো. আহসানুল কবির (৫৬)কে ঔষধ ও কসমেটিকস আইন, ২০২৩ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় যথাক্রমে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পাশাপাশি একই প্রতিষ্ঠানের রাজিয়া সুলতানা (৩৫)কে একই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় দুই লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়। তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দণ্ডিত দুজনই অপরাধ স্বীকার করে বলেন, তারা নকল ও ভেজাল ঔষধ বিক্রয় এবং বিপণন এর সাথে জড়িত।
পাশাপাশি জব্দকৃত সমস্ত ঔষধ জনসম্মূখে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়াও এই অবৈধ ঔষধ সমূহের সম্ভাব্য বিপপণ দোকানসমূহে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হবে এবং যে সকল চিকিৎসক এই সব নকল , ভেজাল ও অনুমোদনহীন ঔষধ প্রেসক্রাইব করছেন তাদের ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।
এই বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, নকল-ভেজাল, আন-রেজিস্ট্রার্ড ওষুধ এবং অবৈধ ওষুধের বিক্রি ও মজুত বন্ধের অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে। একই সাথে এসব কারবারে আর কারা কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জনস্বার্থে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জেএন/পিআর/এমআর