বেনাপোল থেকে আসা কমিউটার ট্রেনে প্রকাশ্যে ভারতীয় অবৈধ পণ্য নির্বিঘ্নে যশোরে ঢুকছে। ঈদ সামনে রেখে এ চোরাচালান আরও বেড়েছে। শহরের বড় বাজার থেকে এসব পণ্য চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।
বেনাপোল থেকে খুলনা পর্যন্ত কমিউটার ট্রেন চারবার যাতায়াত করে। মধ্যে পড়ে যশোর। যে দুবার বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসে সে দুবারই ট্রেন ভরা থাকে চোরাচালানের পণ্যে।
চোরাচালান পণ্যের বহনকারীরা স্টেশনে ট্রেন থামার পর বগি থেকে দ্রুততার সঙ্গে অবৈধ পণ্যগুলো নামিয়ে নেয়। এরপর স্টেশনের একপাশের গেট দিয়ে বেরিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রিকশা বা ভ্যানে উঠিয়ে রওনা হয় যশোরের বড় বাজারের দিকে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, যশোর শহরের বড়বাজারের আলুপট্টি ও ফেন্সি মার্কেটের অর্ধশতাধিক দোকান রয়েছে ভারতীয় অবৈধ পণ্য বিকিকিনির জন্য। এসব দোকানে নেই কোনো সাইনবোর্ড। থাকে না সাধারণ ক্রেতার ভিড়।
দোকানগুলো একেকটি ভারতীয় অবৈধ পণ্যের আড়ত হিসেবে পরিচিত। কোনো কোনো দোকানি কিছু দেশি পণ্য কিনে দোকানে সামনে সাজিয়ে রাখেন কৌশল হিসেবে। এসব দোকান থেকে পণ্য চলে যায় কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে।
চোরাচালানে রেলস্টেশনকে প্রকাশ্য ব্যবহার প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা দেখা যায় না রেলপুলিশের। জানতে চাইলে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করে যশোর রেলপুলিশের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই মোজাহেদ বলেন, এ বিষয়ে কিছু বলতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, রেলস্টেশন দিয়ে ভারতীয় পণ্য আসে এরকম দুয়েকটি তথ্য আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা কাজ করব।
ঈদের আগে এমন প্রকাশ্য চোরাচালানে বাজারের বৈধ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। বাজারে ভারতীয় পণ্যে অবৈধ প্রবেশ বন্ধের দাবি জানিয়েছেন যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবীর।
শুধু তিনি নন, চোরাকারবারিদের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী অনুরূপ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর